Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪

কার্যক্রম

 

জনস্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দায়িত্ব
১.১ কর্পোরেশন নগরীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই অধ্যাদেশ বা ইহার অধীনে এতদূসম্পর্কে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার থাকিলে, উহা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

অস্বাস্থ্যকর ইমারতসমূহ
১.২ কোন ইমারত বা জায়গা অস্বাস্থ্যকর,বা ক্ষতিকর অবস্থায় থাতকলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা উহার মালিক বা দখলদারকে-
    (ক)  উহা পরিষ্কার করিতে বা যথাযথ অবস্থায় রাখিতে;
(খ) উহা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখিতে;
(গ) উক্ত ইমারতের চুনকাম করিতে এবং নোটিশে উল্লেখিতরূপে ইহার অপরিহায মেরামতের ব্যবস্থা করিতে; এবং
(ঘ) উক্ত ইমারত বাজায়গা, স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে নিদের্শ দিতে পারিবে।
১.৩  ক্রমিক ২.১ এর অধীনে প্রদত্ত নোটিশে উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে নোটিশের নিদের্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করা না হইলে, কর্পোরেশন উক্ত ইমারত বা জায়গার মালিক বা দখলদারের খরচে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে, এবং ইহাতে কর্পোরেশনের যে খরচ হইবে, তাহা এই আইনের অধীনে উক্ত মালিক বা দখলদারের উপর আরোপিত কর হিসাবে গণ্য হইবে।

আবর্জনা অপসারণ, সংগ্রহ এবং উহার ব্যবস্থাপনা

১.৪ কর্পোরেশন উহার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল জনপথ, সাধারণ পায়খানা, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, ইমারত ও জায়গা হইতে আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করিবার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

১.৫ কর্পোরেশনের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধানে, কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত সকল ইমারত ও জায়গার দখলকারগণ উহা হইতে আবর্জনা অপসারণের জন্য দায়ী থাকিবে।

১.৬ কর্পোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলিবার পাত্র বা অন্যবিধ আধারের ব্যবস্থা করিবে এবং যেখানে অনুরূপ ময়লা ফেলার পাত্র বা আধারের ব্যবস্থা করা হইবে, কপোরেশন সাধারণ নোটিশ দ্বারা পার্শ্ববর্তী বাড়ী ঘর ও জায়গা-জমির দখলদরেগণকে তাহাদের ময়লা বা আবজনা উক্ত পাত্র বা আধারে ফেলিবার জন্য নির্দেশ দান করিতে পারিবে।

১.৭ কর্পোরেশন কর্মচারীগণ কতৃক অথবা তাহাদের তত্ত্বাবধানে অপসারিত বা সংগৃহীত আবর্জনা বা ময়লা এবং সিটি কপোরেশন কতৃক স্থাপিত পাত্র বা আধারে জমাকৃত ময়লা বা আবজনা কর্পোরেশনের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হবে।

পায়খানা প্রস্রাবখানা

১.৮ কর্পোরেশন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পৃথক পৃথক পায়খানা এবং প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করিবে এবং তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখিবার ব্যবস্থা করিবে।

১.৯ যে সকল ঘরবাড়িতে পায়খানা বা প্রস্রাবখানা আছে সে সকল ঘরবাড়ীর মালিক তাহা কর্পোরেশনের সন্তুষ্টি অনুযায়ী সঠিক অবস্থায় রাখিবে।

১.১০ কোন ঘরবাড়ীতে পায়খানা বা প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা না থাকিলে বা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকিলে, কিংবা কোন আপত্তিকর স্থানে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা থাকিলে, কর্পোরেশন উক্ত ঘরবাড়ী বা বাসস্থানের মালিককে নোটিশ দ্বারা-

(ক) নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিবর্তন ব্যবস্থা করা;

(খ) নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিবতন সাধন করা;

(গ) নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা ও প্রস্রাবখানা অপসারণ করা; এবং

(ঘ) যেখানে ভূগভস্থ কোন পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা আছে সেখানে সাধারণভাবে পরিষ্কারযোগ্য পায়খানা বা প্রস্রাবখানাকে পয়ঃপ্রণালীর সহিত সংযুক্ত ‍করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

জম্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ রেজিস্ট্রি

২.১ কর্পোরেশন উহার সীমানার মধ্যে যে সকল জম্ম, মৃত্যু ও বিবাহ হইবে সেইগুলি প্রবিধান অনুযায়ী রেজিস্ট্রি এবং ক্ষেত্রমতে পরিসংখ্যান বা তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করিবে।

সংক্রমক ব্যাধি

৩.১ নগরীতে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। 
৩.২ কর্পোরেশন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে। 
৩.৩ কর্পোরেশন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকল্পে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও মাতৃসদন ইত্যাদি

৪.১ কর্পোরেশনের প্রয়োজন অনুসারে-
(ক) স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন এবং মহিলা, শিশু ও বালক-বালিকাদের জন্য কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষন করিবে এবং অনুরূপ কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন বা কল্যাণ কেন্দ্রে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে;
(খ) ধাত্রী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;
(গ) পরিবার পরিকল্পনা উন্নায়নের ব্যবস্থা করিতে পারিবে; এবং
(ঘ) মহিলা, শিশু এবং বালক-বালিকাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। 

জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন

৫.১ কর্পোরেশন স্বাস্থ্যমূলক শিক্ষাসহ জনস্বাস্থ্যের উন্নতির বিধানকল্পে প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী

৬.১ কর্পোরেশন নগরবাসীর চিকিৎসার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে।
৬.২ কর্পোরেশন কতৃক পরিচালিত প্রত্যেক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী বিধি দ্বারা নিধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।

চিকিৎসা, সাহায্য এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ইত্যাদি

৭.১ কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে বা সরকার নির্দেশ দিলে, নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা-
       (ক) প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা;
       (খ) ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সাহায্য ইউনিট স্থাপন ও পরিচালনা;
       (গ) চিকিৎসা সাহায্য প্রদানকল্পে সমিতি গঠনে উৎসাহদান;
       (ঘ) চিকিৎসা বিদ্যার উন্নয়ন;
       (ঙ) চিকিৎসা সাহায্যের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানসমূহকে অথ প্রদান; এবং
       (চ) স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

সাধারণ খেয়া পারাপার

৯.১ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা সরকারি জলাধারে ভাড়ায় চলাচলকারী নৌকা বা অন্যান্য যানবাহনের জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করিতে, লাইসেন্সের শর্ত নির্ধারণ করিতে এবং তজ্জন্য প্রদেয় ফিস নির্দিষ্ট করিতে পারিবে।
৯.২ সরকার কোন জলাধারের অংশবিশেষকে সাধারণ খেয়া পারাপার হিসাবে ঘোষণা করিয়া উহার ব্যবস্থাপনা কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন উক্ত খেয়া পরিচালনা করিবে এবং উহা ব্যবহারের জন্য টোল আদায় করিবে।

সরকারি মৎস্যক্ষেত্র

১০.১ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন জলাধারকে সাধারণ মৎস্যক্ষেত্র হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ মৎস্যক্ষেত্রে মৎস্য শিকারের অধিকার কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে।

খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যাদি

খাদ্য পানীয় দ্রব্যাদি সংক্রান্ত
১১.১ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা-
     (ক) লাইসেন্স ব্যতীত কোন স্থান বা ঘরবাড়িতে কোন নির্দিষ্ট খাদ্য বা পানীয়দ্রব্যপ্রস্তুত বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;
     (খ) লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি কতৃক নির্দিষ্ট খাদ্য বা পানীয়দ্রব্য বিক্রয়ার্থে নগরীতে আমদানী কিংবা বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য ফেরী করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে; 
     (গ) প্রবিধানে উল্লিখিত স্থানসমূহে নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যাদির ফেরী করা নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;
     (ঘ) নির্দিষ্ট খাদ্য বা পানীয়দ্রব্য পরিবহনের সময় ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে;
     (ঙ) এই ধারার অধীনে লাইসেন্স প্রদান এবং প্রত্যাহার এবং লাইসেন্সের জন্য প্রদেয় ফিস নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে; এবং
     (চ) খাদ্যের জন্য আনীত বা নিদিষ্ট কোন রোগাক্রান্ত পশু, হাঁস-মুরগী বা মাছ কিংবা কোন বিষাক্ত খাদ্য বা পানীয়দ্রব্য আটক ও ধ্বংসের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।

দুধ সরবরাহ
১১.২ কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স এবং উক্ত লাইসেন্সের শর্তানুসারে ব্যতীত কোন ব্যক্তি নগরীতে দুগ্ধ বিক্রয়ের জন্য দুগ্ধবতী গবাদি পশুপালন করিবে না অথবা কোন দুগ্ধ আমদানী বা বিক্রয় করিবে না, অথবা মাখন, ঘি বা দুগ্ধজাত অন্যান্য দ্রব্যাদি প্রস্তুত করিবে না বা অনুরূপ কোন উদ্দেশ্যে ঘরবাড়ি ব্যবহার করিবে না।
১১.৩ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে, দুগ্ধ সরবরাহ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে গোয়ালা কলোনী স্থাপন এবং নগরীর কোন এলাকায় দুগ্ধবতী গবাদিপশু পালন নিষিদ্ধ করিবার এবং জনসাধারণের নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণ খাটি দুগ্ধ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য বিধান থাকিবে।

সাধারণের বাজার

১২.১ আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে কর্পোরেশন খাদ্যদ্রব্য, পানীয় ও জীবজন্তু বিক্রয়ের জন্য সাধারণের বাজার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে।
১২.২ আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন কর্পোরেশন সাধারণের বাজার নির্মাণের উদ্দেশ্যে তৎকর্তৃক স্থিরকৃত শর্তাবলী সাপেক্ষে ইচ্ছুক দখলকারগণের নিকট হইতে নির্ধারিত সালামী বা আগাম ভাড়া আদায় করিতে পারিবে।
১২.৩ কর্পোরেশন সাধারণের বাজারের জন্য প্রবিধান দ্বারা
     (ক) বাজার ব্যবহার অথবা বাজারে পণ্য বিক্রয়ের জন্য ফিস ধায করিবার;
     (খ) বিক্রয়াথ পণ্য বহনকারী যানবাহন বা পশুর উপর ফিস আরোপ করিবার;
     (গ) দোকান ও ষ্টল ব্যবহারের জন্য ফিস আদায় করিবার;
     (ঘ) বিক্রয়ের জন্য আনীত বা বিক্রিত পশুর উপর ফিস ধায করিবার; এবং
     (ঙ) বাজারের দালাল, কমিশন এজেন্ট, কয়াল এবং বাজারের জীবিকা অর্যনকারী অন্যান্য ব্যক্তির নিকট হইতে ফিস আদায়ের বিধান করিতে পারিবে।

বেসরকারী বাজার

১৩.১ কর্পোরেশন কতৃক প্রদত্ত লাইসেন্স এবং উহার শর্তানুযায়ী মান্য ব্যতীত কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে কোন বেসরকারি বাজার প্রতিষ্ঠা অথবা রক্ষণাবেক্ষণ করা যাইবে না।
১৩.২ উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, এই আইন বলবৎ হওয়ার পূর্বে নগরীতে কোন ব্যক্তির কোন বেসরকারি বাজার থাকিলে তিনি এই আইন বলবৎ হইবার তিন মাসের মধ্যে কর্পোরেশনের নিকট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিবেন এবং যতদিন পর্যন্ত তাহাকে লাইসেন্স প্রদান করা না হয় ততদিন পর্যন্ত তিনি উক্ত বাজার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে থাকিবেন।
১৩.৩ কর্পোরেশন প্রবিধান অনুযায়ী বেসরকারি বাজার হইতে ফিস আদায় করিতে পারিবে।
১৩.৪ কর্পোরেশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,  কোন বেসরকারি বাজার জনস্বার্থে বন্ধ করিয়া দেওয়া অথবা উহার কর্তৃত্ব কর্পোরেশনের গ্রহণ করা উচিত, তাহা হইলে কর্পোরেশন বাজারটি বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে অথবা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
১৩.৫ কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা বেসরকারি বাজারের মালিককে উক্ত নোটিশে বর্ণিত সময়ের মধ্যে বাজারের প্রয়োজনীয় নির্মাণ কায সমাধা করিবার, বা ইহাতে প্রয়োজনীয় সুবিধাদির ব্যবস্থা করিবার এবং ইহা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নোটিশে উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণের জণ্য নির্দেশ দিতে পারিবে।

কসাইখানা

১৪.১ কর্পোরেশন নগরীর সীমানার মধ্যে বা উহার বাহিরে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এক বা একাধিক স্থানে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে পশু জবাই বা কসাইখানার ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে।

পশু

১৫.১ কর্পোরেশন পশু হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং প্রবিধান দ্বারা উহাদের কার্য নিয়ন্ত্রণ ও উহার চিকিৎসা বাবদ আদায়যোগ্য ফিস ধার্য করিতে পারিবে।
১৫.২ পশুরোগ আইন, ২০০৫ এর ধারা ২(ঙ) এর অধীন তফসিলে বর্ণিত সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধকল্পে উক্ত আইনের ধারা ৭ এর অধীন কর্পোরেশন বাধ্যতামূলকভাবে টিকা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে; এবং অনুরূপ রোগজীবাণু দ্বারা যে সকল পশু আক্রান্ত হয়েছে সে সকল পশু চিকিৎসা ও ধ্বংসের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।

বেওয়ারিশ পশু
১৫.৩ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা রাস্তায় বা জনসাধারণের ব্যবহৃত স্থান বা কৃষি ভূমিতে বন্ধনহীন অবস্থায় ইতস্ততঃ বিচরণরত পশু আটক করা ও খোয়াড়ে আবদ্ধ রাখিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে।
১৫.৪ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা গবাদিপশু আবদ্ধ করিবার জন্য খোয়াড়ের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং আবদ্ধকৃত পশুর জন্য জরিমানা ও ফিস আদায়ের বিধান করিতে পারিবে।
১৫.৫ কর্পোরেশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ কোন রাস্তায় বা স্থানে কোন পশু খুটায় বাঁধিয়া কিংবা আটকাইয়া রাখা যাইবে না, এবং যদি উক্তরূপ কোন রাস্তায় বা স্থানে কোন পশু বাঁধা বা আটক অবস্থায় পাওয়া যায় তবে উহাকে বন্ধ করা এবং খোয়াড়ে আবদ্ধ রাখা যাইবে।

পশুশালা ও খামার
১৫.৬ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে পশুশালা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে, এবং ইহাতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পশুসমূহ রাখিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবে।
১৫.৭ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে পশু ও হাঁস-মুরগীর খামার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে  পারিবে।

গবাদিপশু বিক্রয় রেজিস্ট্রিকরণ
১৫.৮ কর্পোরেশন, প্রবিধান দ্বারা উহাতে উল্লিখিত প্রত্যেক পশুর বিক্রয় রেজিস্ট্রি করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং ফিস প্রদানে রেজিস্ট্রি করিবার বিধান করিতে পারিবে।

পশুসম্পদ উন্নয়ন
১৫.৯ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, পশুপালন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন অথবা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করিতে পারিবে, এবং অনুরূপ প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে কোন ব্যক্তি যাহাতে নির্দিষ্ট কোন বয়স অপেক্ষা অধিক বয়সী পশু নির্বীয না করিয়া অথবা কোন উপযুক্ত কতৃপক্ষ কতৃক, উহা প্রজননক্ষম এই মর্মে প্রত্যায়ন না করাইয়া রাখিতে না পারে তাহার বিধানও করা যাইবে।

বিপজ্জনক পশু
১৫.১০ কর্পোরেশন, প্রবিধান দ্বারা কোন পশু বিপজ্জনক পশু বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোন পশু কি অবস্থায় সচরাচর বিপজ্জনক না হওয়া সত্ত্বেও কি অবস্থায় বিপজ্জনক বলিয়া গণ্য হইবে তাহার বিধান করিতে পারিবে, এবং অনুরূপ প্রবিধানে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে অনুরূপ পশু আটক ও ধ্বংস করিবার ব্যবস্থা থাকিতে পারিবে।

গবাদিপশু প্রদশর্নী ইত্যাদি
১৫.১১ কর্পোরেশন নগরীতে গবাদিপশু প্রদশর্নী ও মেলা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং উক্ত প্রদশর্নী ও মেলায়   দর্শকদের নিকট হতে প্রবিধান দ্বারা নিধারিথ নির্ধারিত ফিস আদায় করিতে পারিবে।
১৫.১২ কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চিড়িয়াখানা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে এবং তদুদ্দেশ্যে চাঁদা আদায় করিতে পারিবে।

পশুর মৃতদেহ অপসারণ
১৫.১৩ উক্ত পশুর মৃতদেহ ২৪ ঘন্টার মধ্যে কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে (যদি থাকে) কিংবা পৌর এলাকার সীমানায় ১ মাইল বাহিরের কোন নির্ধারিত স্থানে পশুরোগ আইন, ২০০৫ এর ধারা ১১ তে বর্ণিত পদ্ধতিতে মাটিতে পুঁতিয়া বা আগুনে পুড়াইয়া ফেলিবার ব্যবস্থা করিবে।

ব্যাখ্যাঃ "পশু" বলিতে মানুষ ব্যতীত সকল স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী, মৎস্য ব্যতীত অন্যান্য জলজ প্রাণী এবং সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা‍ ঘোষিত অন্য কোন পশুকে বুঝাইবে।

শহর পরিকল্পনা

১৬.১ কর্পোরেশন নগরীর জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং উহাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির বিধান থাকিবে-
      (ক) পাঁচশালা ও বিভিন্ন মেয়াদী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
      (খ) নগরীর ইতিহাস, পরিসংখ্যান, জনকল্যাণমূলক এবং অন্যান্য নির্ধারিত বিষয়াদির বিবরণ সম্বলিত একটি জরীপ;
      (গ) নগরীর কোন এলাকার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; এবং
      (ঘ) নগরীর মধ্যে কোন এলাকায় জমির উন্নতিসাধন, ইমারত নিমাণ বা পুনঃনির্মাণ সর্ম্পকে বিধি নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ।

ভূমির উন্নয়ন প্রকল্প
১৬.২ এই অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুসারে কোন মহাপরিকল্পনা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে অনুমোদিত মহাপরিকল্পনার অর্ন্তভূক্ত কোন এলাকায় কোন ভূমির মালিক উক্ত এলারার জন্য বিধি অনুযায়ী প্রণীত ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পের সহিত অসামঞ্জস্য হয় এ‌ইভাবে মহাপরিকল্পনায় নির্ধারিত পরিমাণের অধিক কোন ভূমির উন্নয়ন সাধন বা উহাতে কোন ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করিতে পারিবে না।
১৬.৩ কোন ভূমি উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির বিধান থাকিবে, যথা-
      (ক) কোন এলাকাকে বিভিন্ন প্লটে বিভক্তকরণ;
      (খ) রাস্তা, নর্দমা ও খালি জায়গার ব্যবস্থাকরণ;
      (গ) জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত এবং কর্পোরেশনকে হস্তান্তরিত হইবে এইরূপ ভূমি;
      (ঘ) কোন ভূমি কর্পোরেশন অধিগ্রহণ করিবে;
      (ঙ) প্লটসমূহের মূল্য;
      (চ) কোন স্থানের মালিকের খরচে সম্পাদনীয় কার্য; এবং
      (ছ) এলাকার উন্নতিসাধনের জন্য প্রয়োজনীয় সময়।

ভূমির উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর করা
১৬.৪ ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প কর্পোরেশনের পরিদর্শনাধীনে নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তবায়ন করা হইবে, এবং ইহা বাস্তবায়নের ব্যাপারে কর্পোরেশন প্রয়েজনীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
১৬.৫ যদি ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পের বিধানের খেলাপ করিয়া কোন জায়গা উন্নয়ন করা হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা ভূমির মালিককে অথবা বিধান খেলাপকারী ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লিখিতভাবে জায়গাটিতে পরিবর্তন সাধন করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং যদি নির্দেশ মোতাবেক পরিবর্তন সাধন না করা হয়, অথবা পরিবর্তন সাধন করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন প্রবিধান অনুসারে আপত্তিকর নির্মাণ কার্য ভাঙ্গিয়া ফেলিতে বা ভাঙ্গিয়া ফেলিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন উক্তরূপ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য কোন ক্ষতিপূরণ প্রদেয় হইবে না।
১৬.৬ যদি ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত কোন ভূমির, প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, উন্নয়ন সাধন করা না হয় এবং কর্পোরেশন তজ্জন্য সময় বর্ধিত না করে অথবা ভূমির উন্নয়ন উক্ত প্রকল্পের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ন না হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন প্রবিধান অনুসারে ভূমি উন্নয়নের ভার স্বয়ং গ্রহণকরতঃ প্রয়োজনীয় নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করিতে পারিবে, এবং কর্পোরেশন কর্তৃক ব্যয়িত অর্থ ভূমির মালিকের নিকট হইতে তাঁহার উপর এই আইনের আধীন আরোপিত কর হিসাবে আদায়াযোগ্য হইবে।

ইমারত নিয়ন্ত্রণ

ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধান
১৭.১ যদি কর্পোরেশন কোন ইমারত বা উহার উপর স্থাপিত কোন কিছু ধ্বংসোন্নুখ অবস্থায় পড়িবার আশংকা রহিয়াছে বলিয়া আশংকা রহিয়াছে বলিয়া মনে করে কিংবা উহা কোন প্রকারে উহার বাসিন্দাদের অথবা উহার পার্শ্ববর্তী কোন ইমারত বা উহার বাসিন্দাদের বা পথচারীদের জন্য বিপজ্জনক বলিয়া মনে করে, তাহা হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা উহাতে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য উক্ত ইমারতের মালিককে বা দখলদারকে নির্দেশ দিতে পারিবে। এবং যদি এই নির্দেশ পালনে কোন ক্রটি হয় তাহা হইলে কর্পোরেশন নিজেই প্রয়াজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ব্যয়িত অর্থ ইমারতের মালিকের নিকট হইতে তাঁহার উপর ইএ আইনের অধীনে আরোপিত কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
১৭.২ যদি কোন ইমারত বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে, বা উহা মানুষ বসবাসের অনুপযুক্ত হয় তাহা হইলে কর্পোরেশন উহার সন্তুষ্টি মোতাবেক ইমারতটি মেরামত না করা পর্যন্ত উহাতে বসবাস নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।

রাস্তা

সাধারণের রাস্তা
১৮.১ কর্পোরেশন নগরীর অধিবাসী এবং নগরীতে আগন্তুকদের আরাম ও সুবিধার জন্য রাস্তা এবং অন্যান্য যোগাযোগের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে।

রাস্তা
১৮.২ কর্পোরেশনের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে এবং উক্ত অনুমোদনের শর্তানুযায়ী ব্যতীত কোন নতুন রাস্তা তৈয়ার করা যাইবে না।
১৮.৩ সাধারণের রাস্তা ব্যতীত অন্যান্য সকল রাস্তা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হইবে।
১৮.৪ কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা, নোটিশে বর্ণিত পদ্ধতিতে কোন রাস্তা পাকা করা বা উহার পানি নিষ্কাশন বা উহার আলোর ব্যবস্থা করা বা অন্য কোন প্রকারে উহাকে উন্নত করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং যদি উক্ত নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহা হইলে কর্পোরেশন স্বীয় এজেন্ট দ্বারা উক্ত কার্য সম্পাদন করাইতে পারিবে এবং ইহা বাবদ ব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট হইতে তাহাদের উপর ইএ আইনের অধীন আরোপিত কর হিসেবে আদায়যোগ্য হইবে।

রাস্তা সম্বন্ধে সাধারণ বিধানাবলী
১৮.৫ কর্পোরের্শন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে যে কোন রাস্তার নামকরণ করিতে পারিবে এবং রাস্তার নাম উহার উপর বা উহার কোন মোড়ে কিংবা ইহার শেষ প্রান্তে বা প্রবেশ পথে পরিষ্কারভাবে ফলকে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
১৮.৬ কোন ব্যক্তি কোন রাস্তা বা উহার নাম বা নাম ফলক বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না কিংবা কর্পোরেশনের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত উহার নাম ফলক অপসারণ করিবে ‍না।
১৮.৭ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে রাস্তা বা ইমারত নির্মাণের সীমারেখা অংকিত করিতে পারিবে এবং কোন রাস্তা বা ইমারত নির্মাণের ব্যাপারে এইরূপ সীমারেখা মানিয়া চলিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।
১৮.৮ কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা রাস্তার উপদ্রব এবং রাস্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে অপরাধের সংজ্ঞা নিরূপণ করিতে পারিবে এবং উহা প্রতিরোধ ও দূরীকরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
 
অবৈধভাবে প্রবেশ
১৮.৯ কর্পোরেশনের কোন রাস্তা, নর্দমা, ভূমি, বাড়ী, গলি বা পার্কে কর্পোরেশন কতৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শর্তাবলী মান্য ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন প্রকারে অবৈধভাবে প্রবেশ করিবে না।
১৮.১০ উক্তরূপ অবৈধ পদার্পণ হইলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ পদার্পণকারী ব্যক্তিকে তাহার অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি তিনি এই নির্দেশ মান্য না করেন তাহা হইলে কর্পোরেশন অবৈধ পদার্পণ বন্ধ করিবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং এই বাবদ যে ব্যয় হইবে তাহা উক্ত পদার্পণকারীর নিকট হইতে তাহার উপর এই আইনের অধীন আরোপিত কর হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।
১৮.১১ ক্রমিক ১৮.১২ এর অধীনে জারিকৃত নোটিশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি নোটিশ প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।

রাস্তায় বাতির ব্যবস্থা
১৮.১২ কর্পোরেশন সব ধরনের রাস্তায় বা উহার উপর ন্যস্ত সবসাধারণের ব্যবহার্য অন্যান্য স্থান যথাযথভাবে আলোকিত করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
১৮.১৩ কর্পোরেশন সরকারের পূবানুমোদনক্রমে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে রাস্তায় আলোকিতকরণ, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।

রাস্তা ধোয়ার ব্যবস্থা
১৮.১৪ কর্পোরেশন জনসাধারণের আরাম ও সুবিধার জন্য সাধারণ রাস্তা পানি দ্বারা ধৌত করিবার ব্যবস্থা করিবে।

যানবাহন নিয়ন্ত্রণ

যানবাহন নিয়ন্ত্রণ
১৯.১ পথচারীগণ যাহাতে পথ চলিতে বিপদগ্রস্ত না হন এবং তাহারা নিরাপদে ও অনায়াসে পথে চলাফেরা করিতে পারেন সেই জন্য কর্পোরেশন প্রবিধান দ্বারা যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।

সাধারণ যানবাহন
১৯.২ কোন ব্যক্তি কর্পোরেশন কতৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতীত নগরীতে মোটরগাড়ী ছাড়া অন্য কোন সাধারণ যানবাহন রাখিতে, ভাড়া দিতে বা চালাইতে পারিবেন না।
১৯.৩ কর্পোরেশন সরকারের পূবানুমোদনক্রমে, এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং কোন ব্যক্তি এইরূপ নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া দাবী করিতে পারিবে না।

জননিরাপত্তা

অগ্নি নিবার্পণ
২০.১ কর্পোরেশন অগ্নি নিরোধ ও অগ্নি রিবার্পণের জন্য দমকল বাহিনী গঠন করিতে পারিবে এবং উহার সদস্য সংখ্যা, যানবাহন, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
২০.২ নগরীতে কোন অগ্নিকান্ড ঘটিলে কোন ম্যাজিস্টেট অথবা দমকল বাহিনীর কার্য পরিচালনাকারী কোন কর্মকর্তা কিংবা অন্যূন সাব-ইন্সপেক্টরের পদমর্যাদাসম্পন্ন কোন পুলিশ কমর্কর্তা-
      (ক) কোন ব্যক্তি অগ্নি নিবার্পন কার্যে অথবা জানমাল রক্ষার ব্যাপারে বাধা প্রদান বা হস্তক্ষেপ করিলে তাহাকে অপসারণ করিতে বা অপসারণের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে,
      (খ) অগ্নিকান্ডের স্থানে বা উহার পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোন রাস্তা বা পথ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবে;
      (গ) অগ্নি নিবার্পণের উদ্দেশ্যে যে কোন বাড়িঘর সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভাংগিয়া দিতে পারিবেন অথবা উহার মধ্য দিয়ে অগ্নি নিবার্পণকারী পানির পাইপ ও যন্ত্রপাতি নেওয়ার জন্য পথের ব্যবস্থা করিতে পারিবে;
      (ঘ) যেই স্থানে অগ্নি কান্ড ঘটিয়াছে সেই স্থানে পানির চাপ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে উহার চতুর্পাশ্বে অবস্থিত যে কোন পাইপ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবে;
      (ঙ) অগ্নি নিবার্পক গাড়ির দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তিকে অগ্নি নিবার্পণে সম্ভাব্য সকল সাহায্যদানের আহবান জানাইতে পারিবে;
      (চ) জানমাল রক্ষার্থে অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা
২০.৩ বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে সাহায়তা প্রদান করিবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

২১.১ কর্পোরেশন এলাকায় যে কোন ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে সরকারের নীতি ও বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রশাসনের সহিত সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর বস্তুর ব্যবসা বাণিজ্য

২২.১ সরকার বিধিমালা দ্বারা কি কি দ্রব্য বা ব্যবসায় এই ধারার উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর তাহা নির্ধারণ করিবে।
২২.২ কর্পোরেশন কতৃর্ক মঞ্জুরীকৃত কোন লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শতার্নুযায়ী ব্যতীত কোন ব্যক্তি-
    (ক) কোন বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর ব্যবসা চালাইতে পারিবে না;
    (খ) কোন বাড়িঘর বা স্থানকে কোন বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর ব্যবসার জন্য ব্যবহার করিতে দিতে পারিবে না; এবং
    (গ) গাহর্স্থ্য কার্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা কোন আইন দ্বারা নির্ধারিত সীমার অধিক কোন বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর বস্তু কোন বাড়ীঘরে রাখিতে পারিবে না।

গোরস্থান ও শ্মশান

২৩.১ কর্পোরেশন মৃত ব্যক্তির দাফন বা দাহের জন্য গোরস্থান ও শ্মশানের ব্যবস্থা করিবে এবং উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
২৩.২ সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন গোরস্থান বা শ্মশানকে কপোরেশনের উপর ন্যস্ত বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে এবং অনুরূপ ঘোষণার পর উহা কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত হইবে এবং কর্পোরেশন উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
২৩.৩ যে সকল গোরস্থান বা শ্মশান কর্পোরেশন কতৃর্ক পরিচালিত হয় না সেই সকল গোরস্থান বা শ্মশান কর্পোরেশনের নিকট রেজিস্ট্রিভুক্ত করাইতে হইবে এবং উহা প্রবিধান অনুযায়ী কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিদশর্নাধীন থাকিবে।
২৩.৪ কর্পোরেশন কতৃর্ক মঞ্জুরীকৃত কোন লাইসেন্স ব্যতিরেকে এবং উহার শর্তাবলী মান্য ব্যতীত কোন নতূন গোরস্থান বা শ্মশান প্রতিষ্ঠা করা যাইবে না।

গাছ, পার্ক, উদ্যান ও বন

বৃক্ষ রোপণ
২৪.১ 
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশ শাখা বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো:

১. সবুজায়ন কার্যক্রম: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনিত কারণে তাপমাত্রা কমাতে শহরে ব্যাপকভাবে গাছপালা রোপণ করা হয়।  শহরের মধ্যে সবুজায়ন বাড়ানোর জন্য গাছপালা রোপণ, নিয়মিত পরিচর্যা এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। পরিবেশ  শাখার মাধ্যমে  সারা শহরে, বিশেষত প্রধান সড়কের পাশে, সড়ক বিভাজক, চত্বর, পার্ক, এবং খালি জায়গায় গাছ রোপণ করে সবুজায়ন বৃদ্ধি করা হয়, যা শহরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক।

২. শহরের ফাঁকা জায়গা ও উদ্যান সৌন্দর্য্যবর্ধন: শহরের পার্ক ও উদ্যানগুলোকে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব রাখা হয়। উদ্যানগুলোতে আরও বেশি গাছপালা ও জলাধার সৃষ্টি করা হয়, যা শহরের মাইক্রোক্লাইমেট উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শহরে ফাঁকা জায়গার উন্নয়ন, ল্যান্ডস্কেপিং এবং সংরক্ষণ করা হয়, যেখানে মানুষ সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে পারে।

৩. জলাশয় সংরক্ষণ: সিটি কর্পোরেশন প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে শহরের অরক্ষিত, জীর্ণ নির্বাচিত কিছু সংখ্যক জলাধার এবং পুকুর পুনঃখনন/সংস্কার করে সংরক্ষণ করে। পরিবেশ শাখার মাধ্যমে শহরের সংরক্ষিত ও সংস্কারকৃত জলাশয়গুলির সবুজায়ন, পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়।

৪. দূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ : শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ এবং অন্যান্য সরকারি/বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।

৫. পরিবেশগত সচেতনতা কর্মসূচি: নাগরিকদের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, ও সচেতনতা প্রচারণা চালায়।

এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশ শাখা শহরের পরিবেশকে উন্নত করতে, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে এবং ভবিষ্যতে আরও টেকসই নগর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে  কাজ করে যাচ্ছে।

 

কমিউনিটি উন্নয়ন শাখা (বস্তি উন্নয়ন)

 
জনবলঃ
* মোট ০৭ জন (প্রধান কর্মকর্তা ১জন, কর্মকর্তা-২জন, অফিস সহকারী-১জন, ফিল্ড স্টাপ-৩জন)।
কার্যক্রম :
* কমিউনিটি/বস্তির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা ও তদারকি করা।
* সংগঠনঃ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সকল স্তরের সংগঠন (প্রাথমিক দল, সিডিসি, সিডিসি টাউন ফেডারেশন ও সিএইচডিএফ) এর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় এবং সঠিক তদারকি করা।
* সঞ্চয় ও ঋণঃ সংগঠনে (সিডিসি) সঞ্চয় ঋণ কার্যক্রম কে সহযোগিতা ও মনিটরিং করা।
* গৃহ-উন্নয়নঃ গৃহ-উন্নয়ন কার্যক্রম কে সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও মনিটরিং করা।
* উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ঃ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যে সকল উন্নয়ন সংস্থা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর (বস্তি) সঙ্গে উন্নয়ন মূলক কাজ করবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ, সমন্বয়, এবং  ফোকাল পার্সন হিসেবে কাজ করা।
* পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনঃ দায়িত্ব অনুসারে মাসিক/বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও প্রতিবেদন তৈরী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্মকর্তার নিকট জমা দেওয়া।
* মেয়র দপ্তর ও প্রশাসন বিভাগের প্রদত্ত কাজ ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা।