রাজশাহী মহানগরীতে ২৩তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর মুন্নুজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের কৃমি নিয়ন্ত্রক ট্যাবলেট খাইয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র- ১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে সু্স্থ্য ও সবলভাবে গড়ে তুলতে তাঁদের কৃমিমুক্ত রাখতে এ ট্যাবলেট খেতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে তাঁদের সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১-৭ অক্টোবর ২০১৯ রাজশাহী মহানগরীতে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। শিশুদের রোগমুক্ত, সুস্থ্য সবলভাবে গড়ে তুলতে তাঁদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে জোর দিতে হবে। কোন শিশু যেন কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল হবার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। দেশকে কৃমিমুক্ত করতে স্বাস্থ্যসচেতনতার পাশাপাশি অভিভাবকদেরও কৃমি নিয়ন্ত্রক ট্যাবলেট খেতে হবে। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করছে। দেশ আজ বিশ্ব দরবারে স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হচ্ছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বর্তমান পরিষদ মহানগরীর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবায় পরপর আটবার জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সকলের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম সফলভাবে বাসত্মবায়িত করতে হবে।
রাসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার, পরিকল্পনা স্বাস্থ্য রক্ষাব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নূরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমকুম ইয়াসমিন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সাবিবর রহমান। অনুষ্ঠানে রাসিকের ডাঃ উম্মুল খায়ের ফাতিমা, ডাঃ মমিনুল ইসলাম, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা মায়া রানী ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন ফুড এ্যান্ড স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হক।
কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আনার লক্ষ্যে নিয়ে ৫-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও একই বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবি শিশুসহ সকল শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। মহানগরীর ৫শ ৫টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩শ ৯১জন ছাত্র-ছাত্রীকে একটি করে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ডাক্তারদের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।