রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যে বাংলাদেশে খাদ্যে উদ্বৃত্ত হচ্ছে, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার কাছাকাছি পৌছে গেছি, ঠিক এই সময়ে দেশের চিনি কলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, তা মানা যায় না। চিনি কলগুলোতে লোকসান কেন হচ্ছে? এর পেছনে কারা আছে? তা খুঁজে বের করতে হবে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ২৬তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচন-২০১৯ এর প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মেয়র। পবা উপজেলার হরিয়ানে রাজশাহী সুগার মিল্স লিমিটেডে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমার পিতা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ কামারম্নজ্জামানের স্মৃতি বিজড়িত এই রাজশাহী চিনিকল। এই চিনিকল মিলের সূচনালগ্নে থেকে শহীদ কামারুজ্জামান এর সাথে জড়িত ছিলেন।
মেয়র আরো বলেন, দেশের ১৫টি চিনিকলকে যুগোপযোগী করে চালানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। অনেক কিছু করেই চিনিকলকে বাঁচানো যায়। পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে চিনিকলগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হবে। চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের নতুন নেতৃত্বে যেই আসুক না কেন, চিনিকলকে বাঁচিয়ে রাখতে তাদেরও ভুমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী সুগার মিল্স লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম মুতিউল্লাহ, বাংলাদেশ খাদ্য শিল্পা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইআর) দিলীপ কুমার পাইন, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হুমায়ুন কবির ও সদস্য মোঃ রশিদু্ল্লাহ। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল।
এ সময় কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আববাস আলী, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ খান, রাজশাহী চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আফাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকসহ ১৫ টি চিনি কলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।