রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ১১-২০  গ্রেডের সরকারি চাকুরীজীবিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের নেতাকর্মীরা। সোমবার বিকেলে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরে এ সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় তারা বেতন বৈষম্য নিরসন, সকল পদে পদোন্নতি, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পুর্নঃবহালসহ আট দফা দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি মেয়রের হাতে তুলে দেন। মেয়র স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে এ ব্যাপাওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ৮ম জাতীয় পে স্কেল অনুযায়ী বর্তমানে গ্রেড সংখ্যা ২০টি। যেখানে সর্বনিমণ বেতন ৮২৫০ ও  সর্বোচ্চ বেতন ৭৮০০০ টাকা এবং ২০তম ও ১ম গ্রেডের অনুপাত প্রায় ১:১০। যেখানে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন ৮২৫০-১২৫০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা বাজার ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এছাড়া বিভিন্ন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সচিবালয়ে ভিন্ন ভিন্ন নিয়োগ থাকার কারণে সমযোগ্যতা সম্পন্ন বিভিন্ন কর্মচারীর সুযোগ সীমিত বা নাই বললেই চলে। ব্লক পোস্ট কর্মরত কর্মচারীরা কোনদিনই পদোন্নতির পান না। এত্রে ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং টাইমস্কেল ও সিকেলশন পুনর্বহালের দাবি তুলে ধরা হয়। সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসের মধ্যে গ্রেড ও পদ নামের ত্রে বৈষম্য পরিলত হয়। সচিবালয় ন্যায় পদনম ও গ্রেড সংশোধনের কথা অন্যতম দাবি হিসেবে উঠে আসে। অধিকিন্তু চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা, টিফিন ভাতাকে ২০০ টাকা হতে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকাসহ অন্যান্য ভাতা যোক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা, নিমণ বেতনভোগীদের জন্য রেশন সুবিধা চালুসহ ১০০% পেনশন ও আনুতোষিক ব্যবস্থার সংশোধন, বিভিন্ন দপ্তরের একই পদের গ্রেড সমতাকরণের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে স্বার করে বিভিন্ন দপ্তরের ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের আহবায়ক ও রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোহেল, আবু সেলিম, মোখলেসুর রহমান, এনামুল হক, জহুরুল ইসলাম, মোঃ আক্তার, মাহাবুব আলম, আরশাদ আলী প্রমুখ।