রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, উৎসবও আমাদের সবার। দূর্গাপূজা উপলক্ষে নগর ভবনসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আলোকসজ্জা করা হবে। প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে সিসি ক্যামারা লাগানো থাকবে, পর্যন্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তায় পূজা উদযাপনের জন্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। এ বছর প্রত্যেক মন্ডপকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।
বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আসন্ন সারদীয় দূর্গাপূজা-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন আরো বলেন, বতর্মান যুগে গুজব একটি সমস্যা। যেকোন গুজবের ব্যাপারে সবাইকে সর্তক ও সজাগ থাকতে হবে।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ দায়িত্বে থাকবেন। তারা নিয়মিত পূজা মন্ডপগুলো ঘুরে দেখবেন।
আরএমপি‘র ডিসি (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোর মতোই এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। দূর্গাউৎসব শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন রাসিকের সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ। আরো বক্তব্য দেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অলক কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সরৎ চন্দ্র সরকার,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ প্রমুখ।
সভায় নগরীর সকল মন্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারো রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে পূজা উদযাপিত হবে বলে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।