রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলি আজগরের বিরুদ্ধে গোপন নথি ফাঁস চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। একই বিভাগের অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের এই অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বলেন,সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে তিন শিক্ষক শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়ার গোপন ও ব্যক্তিগত কিছু নথি হাইজ্যাক করে প্রফেসর ড. আলী আজগর সাহেব বিভাগের বাহিরে ডীন অফিসে ফটোকপি করতে থাকে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে অন্যান্য অফিস কর্মচারীরা হইচই শুরু করে। আমি এই বিষয়টি জানতে পেরে আলি আজগার সাহেবের নিকটে গিয়ে নথিগুলো ফেরত চাই। তিনি নথিগুলো দিতে রাজি না হওয়া আমি তা দিতে তাকে অনুরোধ করি। এখানে হাতাহাতি বা ধস্তাধস্তির কোন ঘটনা ঘটেনি। নথিগুলো নিয়ে যাওয়ার পরে একাই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, যখন এ ঘটনা ঘটছে তখন আমি রাবির প্রসাশনিক ভবনে অবস্থান করছিলাম। পরে বিভাগে আসার পর ঘটনাটি শুনলাম অফিসের প্রধান সেলিম সাহেব, অফিস পিয়ন মোতালেব সাহেব এবং বিভাগের শিক্ষক খাইয়রুল ইসলাম স্যারের কাছে। তিনজনের কাজে আমি এ বিষয়টি জানতে পারলাম। আসলে এ ঘটনাটি অত্যমত্ম দুঃখজনক, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের কাছে এ ধরনের কোন কিছু প্রত্যশা করা যায় না। আমি ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যেন ক্ষুন্ন না হয় এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ সম্পর্কে অফিস পিয়ন মোত্তালেব বলেন, নথিগুলো খাইরুল স্যার আলী আজগরের স্যারের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন। মারামারি বা হাতাহাতির কোন ঘটনা ঘটেনি।