সারা বাংলাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও আগামী ২২ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ১ম রাউন্ড-২০১৯ উদযাপন করা হবে। এদিন মহানগরীর সকল শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় সারাদেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। ইপিআই কার্যক্রমে ৮মবারের মতো সারাদেশে প্রথম হয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। আমরা এই সফলতা ধরে রাখতে চাই।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সকল নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে চাই। লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এসব কাজে সবার সহযোগিতা কাম্য।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২২জুন রাজশাহী মহানগরীর ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এবার এ পর্যায়ে সাত হাজার ৯৩৭জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ পর্যায়ে ৫৪ হাজার ৭৩১জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৩৮৪টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে একটি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র রয়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে মোট ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমার আরা বেগম। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টু, সচিব রেজাউল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।