বাজেট বক্তব্য : ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর
বিস্মিলস্নাহির রহমানির রাহিম।
সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ, বিশিষ্ট সুধীজন, সাংবাদিকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ
আস্সালামু আলাইকুম।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
২০০৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাজশাহী মহানগরবাসী আমাকে নির্বাচিত করে নগরবাসীর সেবার দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। নির্বাচিত হবার পর রাজশাহীবাসীর সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে রাজশাহী মহানগরীকে একটি উন্নত, পরিচ্ছন্ন, শান্তি ও স্বস্তির আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়েছি। এর ফলে রাজশাহী দেশের একটি পরিচ্ছন্ন মডেল সিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আবারও আমাকে এবং আমার পরিষদকে নির্বাচিত করে রাজশাহী নগরবাসী সেবা করার গুরম্ন দায়িত্ব আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আজ ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে এ পরিষদের ১ম বাজেট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ
এবারের বাজেট সুনির্দিষ্ট ৮ টি কর্মকৌশল সামনে রেখে প্রসত্মাবিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
১. পরিকল্পিত নগর অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধার উন্নয়ন।
২. উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং সবুজায়ন, পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ এর মাধ্যমে মহানগরীর পরিবেশ উন্নয়ন।
৩. নগরের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ব্যবস্থাপনা ও কর্মক্ষমতার উন্নয়ন।
৫. রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকরণের মাধ্যমে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি।
৬. কর্ম সম্পাদনে গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি।
৭. দাপ্তরিক কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ।
৮. আর্থিক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
সম্মানিত সুধীবৃন্দ,
কোন প্রতিষ্ঠানের বাজেট শুধুমাত্র আয়-ব্যয়ের খতিয়ান নয়। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ভাবনা প্রতিফলিত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে প্রতিশ্রুতি মহানগরবাসীকে দিয়েছিলাম, একটি গণমুখী বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তার বাসত্মব রুপ দিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সে নিরিখেই ২০১৯-২০ বছরের বাজেটটি প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সাথে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের আয়-ব্যয়ের প্রকৃত অবস্থার উপর ভিত্তি করে উক্ত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটও প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরের বাজেট এবং বিগত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের কপি ইতোমধ্যে আপনাদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। যার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আপনারা জানেন যে, ২০০৮ সালে খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, বেহাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ঋণভারে জর্জরিত কোষাগার, অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়ক বাতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমরা বিগত মেয়াদে নগরীর বেহাল রাসত্মা, ফুটপাত ,নর্দমা নির্মাণ ও সংস্কার, এলইডি বাতি সংযোজন, পাবলিক টয়লেট, পার্ক , খেলার মাঠ, কবরস্থান, এসটিএস নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, রাজস্ব উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণ, নতুন নতুন রাসত্মাঘাট নির্মাণ,সর্বসত্মরের নাগরিকদের সচেতনকরণসহ কর্পোরেশনের কার্যক্রমে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্তকরণের মধ্যে দিয়ে রাসিকের সার্বিক কর্মকান্ড গতিশীলতা আনয়নের মধ্য দিয়ে আমরা নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেছিলাম। এজন্য আমি সম্মানিত নগরবাসীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই মেয়াদে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনারা আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়ের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এবারেও উন্নয়ন কাজ ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। রাজশাহীকে মেগাসিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণসহ মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নিকট প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রসত্মাব প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, চীন, ভারত, কানাডা, নরওয়ে এবং ইন্দোনেশিয়া সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় রাজশাহীর যোগাযোগ ব্যবস্থা, নদী খনন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নগরায়ন, কৃষিজ এবং ফলজ দ্রব্যাদি প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি উন্নয়ন সাধন করা হবে। এসব ক্ষেত্রে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করা সম্ভবপর হবে বলে আশা করছি।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এখন উন্নয়নের স্রোতধারায় বদলে যাওয়া নগরী। অনেকেই এই নগরীবে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি ও আলোকিত নগরী হিসেবে দেখতে আসেন। নগরবাসীর নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে এ সংস্থাকে চালিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য আমি বাংলার গণমানুষের নেত্রী জাতির বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নগরবাসীদের পক্ষ থেকে আমত্মরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমি এখন রাজশাহী মহানগরীর চলমান যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং গৃহীত ভবিষ্য পরিকল্পনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিমেণ উপস্থাপন করছি :
মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রাজশাহীর বিভিন্নখাতে ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও চায়নার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়না‘র মধ্যে গত ১২ মে ২০১৯ তারিখে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৫০ বছর মেয়াদী মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবায়ন হতে শুরু করলে পাল্টে যাবে পুরো রাজশাহী মহানগরীর চিত্র। চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছর ৮ টি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে পাওয়ার চায়না। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এসব প্রকল্প বাসত্মবায়ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করবে পাওয়ার চায়না।
খাতগুলো হলো,
চলমান প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্যঃ
১৮২ কোটি ৬৮ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় হতে ছোট বনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর হয়ে চৌদ্দপায়া রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর ২টি মহাসড়কের পূর্ব-পশ্চিমমুখি ৬.৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়ক নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩.৬৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চলমান সংযোগ সড়কের রেলওয়ে ক্রসিং-এ ২০২.৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ৩.০০ কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে নিরাপদ চলাচলে ২.২০ মিটার চওড়া ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণাধীন সড়কে আলোকায়ন কাজ করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮৫%। প্রকল্পটির সংশোধিত মেয়াদ ডিসেম্বর, ২০১৯ এর মধ্যে সমূদয় অংশের কাজ সম্পন্ন হবে এবং সড়কটি চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় নির্মাণাধীন সংযোগ সড়কে চলাচল শুরম্ন হলে মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানজট পরিস্থিতির উলেস্নখযোগ্য উন্নতি সাধিত হবে। একই সাথে প্রকল্প সংশিস্নষ্ট এলাকায় ব্যাপকভাবে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরম্ন হবে।
১৮২ কোটি ২২ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ‘রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর ৬.৩৬ কিলোমিটার প্রাইমারী, ১৯.২৯ কিলোমিটার সেকেন্ডারি এবং ৬৭.৭৫ কিলোমিটার টারশিয়ারি নর্দমা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর প্রধান ৩টি খালে নির্বিঘ্নে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় রেলওয়ে ক্রসিং-এ কালভার্ট প্রশসত্মকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১টি কালভার্ট প্রশসত্মকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ১ম বারের মতো যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাদামাটি অপসারণে ৯ টি প্রাইমারি নর্দমার পাশে মোট ৮.৬৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন সংযোগ সড়কের মাধ্যমে এক্সাভেটর দ্বারা নর্দমার কাঁদামাটি অপসারণ কাজ করা হবে। এছাড়াও নর্দমার সন্নিহিত এলাকার মানুষের চলাচলের বিকল্প রাসত্মা তৈরি হবে। প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮৮%। প্রকল্পটির সংশোধিত মেয়াদ জুন, ২০২০ এর মধ্যে সমূদয় অংশের কাজ সম্পন্ন হবে। প্রকল্পটির আওতায় সকল নর্দমা ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে মহানগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হবে এবং মহানগরীর প্রায় ৭২% এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
১২৭ কোটি ৪৯ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর আলুপট্টি মোড় হতে তালাইমারী মোড় পর্যমত্ম বর্তমান সড়কটির প্রশসত্ম করে ৪ লেন সড়কে উন্নীত করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় সড়কের দুই পাশে নিরাপদ চলাচলে ২.২০ মিটার চওড়া ফুটপাথ নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে সড়কটির দক্ষিণ পাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সড়কটি প্রশসত্ম করণে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অধিগ্রহণকৃত ভূমি ব্যবহার করে ৪ লেন সড়ক নির্মাণ কাজ দ্রম্নত আরম্ভ করা হবে এবং জুন, ২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। এই সড়কটি চালু হলে নগরীর যানজট পরিস্থিতির উলেস্নখ্যযোগ্য উন্নতি সাধিত হবে। রাত্রিকালীন নিরাপদ চলাচলের জন্য উক্ত সড়কে আলোকায়ন করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৫৩%।
১৭২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর ওয়ার্ডসমূহের বর্তমান ১৩২.৩৭ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কগুলো পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় ১৮.০০ কিলোমিটার সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। টেকসই সড়ক নির্মাণের নিমিত্ত আধুনিক এ্যাসফল্ট কার্পেটিং কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ ৪.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সিটি বাইপাস সড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার লক্ষে ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর ক্ষতিগ্রস্থ বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সড়ক-এর ঢাকা বাস টার্মিনাল হতে তালাইমারী পর্যমত্ম ৪ লেন সড়ক পুনঃনির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সড়কসমূহের পাশে পানি নিষ্কাশনে প্রায় ৪৯.২১ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়াও নিরাপদ চলাচলে ১৯.৫০ কিলোমিটার ফুটপাথ এবং ৪.২৩ কিলোমিটার সড়কে আলোকায়ন করা হবে। প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৩৫%। প্রকল্পটির সংশোধিত মেয়াদ জুন, ২০২০ এর মধ্যে সমূদয় অংশের কাজ সম্পন্ন হবে এবং নির্মিত সড়ক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় ৪ লেন সড়ক নির্মাণ ও ওয়ার্ডসমূহের কার্পেটিং সড়কসমূহ পুনঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে মহানগরীর প্রায় সকল সড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ফলশ্রম্নতিতে মহানগরীর যানজট পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হবে।
২১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভারতীয় অর্থায়নে চলমান প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ উপশহর হাউজিং এস্টেটের সকল রাসত্মা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উভয় পাশে নিরাপদ চলাচলে ১৭.৯৪ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফুটপাত নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। জনসাধারণের বিনোদন ব্যবস্থার আওতায় পারিজাত আবাসিক এলাকার একটি জলাশয় (লেক) এবং সপুরা সিল্ক মিল-এর নিকট একটি জলাশয়ের পাড় সমূহে স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা ওয়াল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় নগরীর হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অতিজীর্ণ ছয়টি মন্দিরের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব মন্দিরে বর্তমানে পূজা অর্চনা করা হচ্ছে। জলাশয় সমূহের চারিদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে জনসাধারণের বিনোদন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। নগরীর যুব সম্প্রদায়কে বই পড়ায় অভ্যস্থকরণে বর্তমান পদ্মা লাইব্রেরী ভেঙ্গে ৫ম তলা বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত লাইব্রেরী ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। মহানগরীর সাংস্কৃতিক কর্মকা- উন্নয়নে অতিপুরাতন রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘের মিলনায়তন ভেঙ্গে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৯৩%। প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ে সমাপ্ত হবে। কাজ সমাপ্ত হলে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আবাসিক এলাকায় জনসাধারণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত হবে। এছাড়াও মহানগরীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে।
১০৮ কোটি ২৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ উপশহর মোড় হতে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে রাণীবাজার মোড় হয়ে সাগরপাড়া বটতলা মোড় পর্যমত্ম ২.৫০ কিলোমিটার বর্তমান সড়কটি ১২.০০ মিটার প্রশসত্ম করে নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় ইতোমধ্যে রাণীবাজার মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যমত্ম সড়কটির প্রশসত্মকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কতিপয় ভূমি মালিকের উচ্চ আদালতে ভূমি অধিগ্রহণের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটির সকল অংশের সড়ক প্রশসত্মকরণ কাজ করা সম্ভবপর হয়নি। সম্প্রতি দড়িখরবোনা মোড় হতে উপশহর মোড় পর্যমত্ম অধিগ্রহণকৃত ভূমি বিরোধীয় কাঠামো ছাড়া অন্যান্য কাঠামো অপসারণ করে সড়কের প্রশসত্মকরণ কাজ শুরম্ন করা হয়েছে। কাদিরগঞ্জ চালপট্টি হতে মালোপাড়া মোড় হয়ে রাণীবাজার মোড় পর্যমত্ম এবং মালোপাড়া মোড় হতে সোনাদীঘি মোড় পর্যমত্ম সড়ক নির্মাণে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। উচ্চ আদালতে মামলার কারণে ধীর গতিতে প্রকল্পটির বাসত্মবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মূল ডিপিপি সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত ডিপিপি সরকারের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৩৫%। প্রকল্পটির সংশোধিত মেয়াদ জুন, ২০২০ এর মধ্যে সমূদয় অংশের কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রশসত্মকৃত সড়কটি চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উনমুক্ত করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় প্রশসত্মকৃত সড়কে চলাচল শুরু হলে মহানগরীর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল যান চলাচলের সড়কটিতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ফলশ্রুতিতে মহানগরীর যানজট পরিস্থিতির উলেস্নখযোগ্য উন্নতি সাধিত হবে।
নতুন প্রকল্পঃ
২৯৭৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে নগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদনের নিমিত্ত দাখিল করা হয়েছে। ভৌত অবকাঠামোসমূহের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করা এবং নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রণীত প্রকল্পটির আওতায় ওয়ার্ডসমূহের সকল শ্রেণীর ৩৮২.৬২ কিলোমিটার রাসত্মা নির্মাণ/উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সকল রাসত্মায় পানি নিষ্কাশনে ৩৪৬.৯২ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান নগরায়নের প্রেক্ষাপটে বর্ধিত যানবাহন চলাচল বিবেচনায় মহানগরীর তালাইমারী মোড় হতে কাঁটাখালী মোড় এবং বিলসিমলা মোড় হতে সিটি হাট পর্যন্ত বর্তমান ৮.৮৫ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেন সড়কে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ সড়কে ৫৪.৪৪ কিলোমিটার ফুটপাত ও ৫৯.৭০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরীর ১৯টি সরকারি খাস প্রাকৃতিক জলাশয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন করে বিনোদন পার্কের আদলে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরীতে ৩০টি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ, ৪৩টি কবরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়ন, ৪টি বিনোদন পার্কের উন্নয়ন এবং সিটি বাইপাস মোড় ও ভদ্রা স্মৃতি অমস্ন্যান-এ সৌন্দর্য্যবর্ধক কাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ৩টি ওয়ার্ড কার্যালয়, লক্ষ্মীপুর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ভূমিতে ১০তলা নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শাহ্ মখদুম দরগা শরীফ নির্মাণ, নগর ভবনের পশ্চিম পাশে সিটি কনভেনশন হল, সিটি অতিথিশালা, ধর্মসভার অবশিষ্টাংশ এবং ৪টি কাঁচা বাজার নির্মাণ প্রকল্পে অমত্মর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান স্মৃতি সৌধ, ৫০ স্কুলে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতি এবং ভাষা শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ ৮টি রেলক্রসিং-এ ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদ পারাপারের জন্য ১৭টি ফুটওভার ব্রীজ, ৩০টি যাত্রী ছাউনি ও গুরম্নত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ল্যান্ডস্কেপিং কাজ প্রকল্পে অমত্মর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক সড়ক যন্ত্রপাতি এ্যাম্বুলেন্স, লাশ পরিবহন ভ্যান এবং শিশু পার্কের জন্য ১৬ সেট গেমস ক্রয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি বর্তমানে স্থানীয় সরকার বিভাগে সরকারের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের মধ্যেই সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
৮৯৫ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়কে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ৭৭০৭ টি ১২০ ওয়াটের এলইডি বাতি এবং ৪০ ওয়াটের ১৮২৬৪ টি এলইডি বাতি সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ ২৬টি মোড়ে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ভারতীয় ঋণ ও সরকারের জিওবি তহবিলের আওতায় বাসত্মবায়িত হবে। প্রকল্পের ডিপিপি বর্তমানে স্থানীয় সরকার বিভাগে সরকারের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের মধ্যেই সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের বাসত্মবায়ন কাজ শুরু হবে।
৪৯ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর ওয়ার্ডসমূহের প্রান্তিক এলাকায় ৫২.১১ কিলোমিটার বর্তমান কার্পেটিং ও সিসি রাস্তা পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করা হবে। এছাড়াও প্রান্তিক এলাকাসমূহের পানি নিষ্কাশনে ৩৯.৮৩ কিলোমিটার টারশিয়ারী নর্দমা নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির ডিপিপি ইতোমধ্যে সরকার অনুমোদন প্রদান করেছেন। প্রকল্পটির আওতায় সড়ক ও নর্দমা নির্মাণ কাজ সহসা শুরম্ন করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় ওয়ার্ডসমূহের প্রামিত্মক এলাকার সড়ক ও নর্দমাসমূহ চলাচল উপযোগী কাজ সম্পন্ন হলে উক্ত এলাকাসমূহে নির্বিঘ্নে যান ও জনসাধারণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে। ফলশ্রুতিতে প্রামিত্মক এলাকাসমূহের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
৭৯৫ কোটি ৮০ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে নগরীর জলাশয় সমূহের অব্যহত ভরাট বন্ধ করাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার্থে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর মোট ২২টি প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় মোট ৭৪.৬০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে ২২টি জলাশয় সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনা হবে। উক্ত জলাশয়সমূহের খনন, চারিদিকে ওয়াকওয়ে, ল্যান্ডস্কেপিং সৌন্দর্য্যবর্ধক বেঞ্চ, পাড় সংরক্ষণ, ছাউনি ও লাইটিং কাজ করে বিনোদন পার্ক হিসাবে নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় জলাশয়সমূহে সারা বছর পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পের ডিপিপি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে সরকারের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
২৯৯৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেÿÿ মহানগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ ১৫টি সড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচলের উদ্দেশ্যে ১২.৫০ মিটার চওড়া করে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি বর্তমানে প্রণয়নাধীন পর্যায়ে রয়েছে। দ্রম্নত ডিপিপি প্রণয়নপূর্বক সরকারের অনুমোদনের নিমিত্ত দাখিল করা হবে।
৪৯২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মহানগরীতে নতুন ৫০.০০ একর ভূমি বরাদ্দের মাধ্যমে আধুনিক স্যানিটারী ল্যান্ডফিল্ড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান ল্যান্ডফিল্ড ভরাট হয়ে যাওয়ায় নতুনভাবে ল্যান্ডফিল্ড নির্মাণের প্রয়োজন। প্রস্তাবিত ল্যান্ডফিল্ডে হাসপাতাল বর্জ্য পুড়িয়ে বিনষ্ট করণে আধুনিক ইন্সিনারেশন পস্ন্যান্ট নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নাধীন রয়েছে। দ্রুত ডিপিপি সরকারের অনুমোদনের নিমিত্ত দাখিল করা হবে।
৪২৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মহানগরীর শ্রীরামপুর পদ্মা নদীর তীরে প্রায় ১০০.০০ একর ভূমি বরাদ্দের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত পার্কে আধুনিক বিনোদন ব্যবস্থা, রাত্রী যাপনের জন্য কটেজ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নাধীন পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুত ডিপিপি সরকারের অনুমোদনের নিমিত্ত দাখিল করা হবে।
৫১১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মহানগরীতে প্রায় ১০০.০০ একর ভূমি বরাদ্দের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে শেখ রাসেল সায়েন্স সিটি ও সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসত্মাবিত পার্কে শিশুদের শিক্ষামূলক বিনোদন কাঠামো ও বিভিন্ন পশুপাখির সমন্বয়ে সাফারি পার্ক এবং রাত্রী যাপনের জন্য কটেজ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নাধীন পর্যায়ে রয়েছে।
রাজশাহী শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী এ মহানগীর উনণয়ন ও বিকাশের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। এ নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা তথা নদী সচল রাখার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র একামত্ম ইচ্ছায় পদ্মা নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ ড্রেজিং কাজ শেষ হলে ভারতের সাথে আমদানি- রপ্তানির নতুন করিডোর হবে পদ্মা নদী। ড্রেজিং পরবর্তী এখানে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে নৌপথে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হতে মালামাল অনেক কম খরচে পরিবহন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও মালামালগুলি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় অনেক কম খরচে পৌছানো যাবে। নদীবন্দর প্রতিষ্ঠার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। এতে করে রাজশাহীতে বিনিয়োগের এক নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে।
আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে রাজশাহীতে তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে, বিসিক-২, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও চামড়া শিল্পপার্ক। এই তিনটি শিল্পাঞ্চলে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের পস্নট বরাদ্দ প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া শতাধিক গার্মেন্টস, শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষাধিক ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর যানজট নিরসনে ব্যাটারি অটোরিকশা ও চার্জার রিকশা চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী সকাল ও বিকেল দুই শিফটে চলাচল করবে অটোরিকশা। অটোরিকশাকে মেরম্নন ও পিত্তি রঙে চিহ্নিতকরণ ও চলাচলের জন্য টাইম টেবিল নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ হাজার অটোরিকশা এবং ৫ হাজার চার্জার রিকশার বেশি নিবন্ধন যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ পয়েন্টে একমুখী যান চলাচল ও পথচারী সড়ক চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে নগরীর যানজট নিরসন হবে।
সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণ, শিল্পায়ন ও বাণিজ্যের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি, মহানগরীর আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের গৃহীত উদ্যোগ পিপিপি এর ভিত্তিতে বেসরকারি উদ্যোগী সংস্থার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কার্যক্রম অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ২০০৯ সালে ১৬ তলা ‘সিটি সেন্টার’, আটতলা ‘স্বপ্নচূড়া প্লাজা’ ও আটতলা ‘দারুচিনি প্লাজা’ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিগত ৫ বছর এই ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বে এসে ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সিটি সেন্টার ও স্বপ্নচূড়া প্ল