১৮ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস। দিবসটি স্মরণে বাণী দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বাণীতে মেয়র বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস। ইতিহাসের পরম্পরায় স্বাধীকার আদায়ের দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা রাজপথে অগ্নিমুখর হয়ে পাক স্বৈরশাসকের পতন ঘটান। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণভুত্থান নামে খ্যাত। ঐ আন্দোলনে রাজশাহীর ছাত্র-শিক্ষক-জনতা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁরা পাক শাসক গোষ্ঠীর ইপিআরের গুলিতে জীবন দিয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। তাঁদের জীবনদান আন্দোলনকে গণআন্দোলনের পরিণত করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঐ দিনই শহীদ হন। সাহেববাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্র শহীদ নূরুল ইসলাম। সাহেব বাজারেই গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সাত্তার। মৃত্যুর সঙ্গে কয়েকদিন যুদ্ধ করে তাঁকেও শহীদের কাতারে সামিল হতে হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি শহীদ জোহা দিবসকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমি শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।