রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ ব্যাপারে সচেতন করছে। প্রয়োজনে দিনের বেলা মশারী টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে, বিশেষ করে শিশুদের মাশরীর মধ্যে রাখতে হবে। রোববার দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্তগুপ্ত সভাকক্ষে ‘সারা দেশব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে গঠিত কমিটির সভায় এসব কথা বলেন মেয়র। ‘‘নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি। আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশ রাখি পরিস্কার, বন্ধ করি মশার বিসত্মার। ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই’ ইত্যাদি স্লোগানকে সামনে রেখে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, সবাই ঢাকায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্ত্ততি নিতে হবে। এ বছর দ্রুত এর প্রকোপ কমাতে হবে। আগামীতে যাতে এভাবে ছড়িয়ে না পরে যেজন্য আগ থেকেই প্রস্ত্ততি নিয়ে রাখতে হবে।
সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বেগম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন ও বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মশা ও এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর ও চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ায়। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার বলেন, মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন সপ্তাহ পালনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মতবিনিময় সভা, র্যালী, মসজিদে প্রচারণা, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ, ড্রেন, ডোবানালা, ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল পরিস্কার, মশা নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক স্প্রে ইত্যাদি কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সভায় বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সভায় বক্তারা মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালনে করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাহেরা বেগম মিলিসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, রাজশাহী ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম তুহিনুর আলম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রোকনুজ্জামান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় রাজশাহী সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, আরএমপি‘র বোয়ালিয়ার এডিসি আব্দুর রশীদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, রাজশাহী কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।