রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাঙালি, বাঙালি, আমার বাঙালি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে যত ভালোবেসেছেন, তার মতো আর কেউ ভালোবাসতে পারেননি। কিন্তু সেই মানুষটির এমন মৃত্যু কোনভাবেই প্রাপ্ত ছিল না। বিভিন্নভাবে আগ থেকেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তেরি করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য একের পর এক যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ এবং দেশকে গড়ার কাজ করছিলেন। এক স্বাক্ষরে ৩৭ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এক স্বাক্ষরে ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছেন। যেমন বাবা, তেমন মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন পূরণ করছেন তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই আমরা আরো উপরে উঠতে পারতাম। এখন আমরা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক উপরে। দেশের সর্বক্ষেত্রে আমাদের অর্জন গর্ব করার মতো।
মেয়র আরো বলেন, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। ইন্ডিয়াতে ধারবাহিকভাবে একই সরকার ক্ষমতায় থাকায় তারা অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। যারা উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে তাদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের নিবৃত্ত করে রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, আজকের দিনটি পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যমত্ম কলঙ্কিত একটি দিন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসী মর্মাহত হয়েছিলেন। আগামীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে-আজকের শোক দিবসে এই হোক সবার অঙ্গীকার।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ। সভায় আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, জেলার সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক মাস্টার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন বিভাগের ঋণের চেক এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালনস্থল পরিদর্শন করেন মেয়র।