রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর নির্বাহী পর্ষদের এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নানকিং দরবার হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে ক্ষুদ্র পরিসরে হার্ট ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকার ১০ তলা ভবনে নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এটি পুর্নাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে পারলে, সময় ও অর্থের অভাবে যারা ঢাকা বা দেশের বাইরে নিয়ে রোগীকে চিকিৎসা করাতে পারেন না, তাদের জন্য অনেক ভালো হবে।
তিনি আরো বলেন, এই ফাউন্ডেশনে গরীবদের বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা প্রদানের কর্তৃপক্ষকে আহবান জানাই। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী জন্য সার্বত্মক সহযোগিতা থাকবে।
সভায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাতৎ হোসেন রওশন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের হৃদরোগীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ হার্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর নিজস্ব জমিতে প্রথম পর্যায় ১০০ বেড বিশিষ্ট একটি পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য গৃহীত ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল, রাজশাহী’ শীর্ষক প্রকল্পটি ৪/০৭/২০১৮ তারিখে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদফরের সহায়তায় জুলাই-২০১৮ থেকে জুন-২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। জুন-২০২১ সালে হসপিটালটি চালুর পর, প্রতি তিন মাস পর ঢাকা থেকে বিখ্যাত চিকিৎসক আনা হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোঃ এন্তাজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সহ-সভাপতি এমএ মান্নান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মানিকের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন রাসিকের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুজ্জামান, সংরক্ষিত-৭ জোন কাউন্সিলর উম্মে সালমা বুলবুলি। অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে ন্যাশনাল হাট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।