রাজশাহী মহানগরীর যত্রতত্র ও বিভিন্ন রাস্তায় বাস, ট্রাক ও যানবাহন রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের মিনি কনফারেন্স কক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরীর যানজট নিরসনে শিরোইল বাস টার্মিনালকে নওদাপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। আমি আরডিএ‘কে নওদাপাড়া বাস টার্মিনালের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য অনুরোধ জানাবো। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
হঠাৎ করে পরিবহনে অস্থিরতার মেয়র বলেন, পরিবহন সেক্টরে অস্থিরতার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে গাড়ি চলাচল সচল রাখতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাই। গাড়ি চলাচলের প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতা ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানের সাথে কথা বলবো।
সভায় আরএমপি ডিসি (ট্রাফিক) অর্নিবান চাকমা বলেন, কেউ যদি ইচ্ছেকৃতভাবে সড়কে গাড়ি না নামায় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে গাড়ি চলাচলে কেউ বাধা দিতে পারবে না। সড়কে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কেন্দ্র থেকে কোন কর্মসূচি নেই। নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কারণে চালক ও সহকারীরা সড়কে গাড়ি নামাতে চাচ্ছেন না। তবে আমরা গাড়ি চালানোর পক্ষে। গতকাল অনেক দূর পাল্লার গাড়ি রাজশাহী থেকে ছেড়ে গেছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনএসআই রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক বদরুল হাসন চৌধুরী, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউন নবী, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিম, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি শাহ নেওয়াজ আলী, সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটু, রাজশাহী জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।