রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শাখার কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নে আধুনিক ইকুইপমেন্ট সংযোজন করা হয়ছে। রোববার বিকেলে নগর ভবনের মিনি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব ইকুইপমেন্ট সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখায় বিতরণ করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জনগণের কল্যানের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। জনগণের সেবার মান উন্নয়নে বর্তমান পরিষদ নিরলসভাবে কাজ করছে। নাগরিক সেবায় আরো আধুনিকায়নের লক্ষ্যে যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হচ্ছে। এটি সূচনা মাত্র। আগামীতে আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হবে। যার সুফল ভোগ করবে নগরবাসী। এর ফলে শারীরিক শক্তি ব্যবহার না করে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা নিয়ে অনেক কাজ সহজভাবে করা সম্ভব হবে।
সিটি মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বরেন্দ্রের বাতিঘর। আমি প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালে সিটি কর্পোরেশনের সকল কার্যক্রমে গতি এসেছিল। রাজশাহী মহানগরীর দ্রম্নতই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মাঝখানে ছন্দপতন ঘটে। এরফলে উন্নয়ন কাজ থমকে দাঁড়ায়। সেই থমকে যাওয়া অবস্থা থেকে উন্নয়নে গতি আনতে সময় লাগছে।
এ সময় সব যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব আরো যত্নবান হয়ে পালনের নির্দেশনা দেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে ফুটপাত কাটার জন্য হ্যামারড্রিল, গাছ কাটার জন্য মুয়ার মেশিন, সার্ভে কাজের সুবিধার্থে টোটাল স্টেশন মেশিন, ঘাস কাটার জন্য গ্রাস কাটার মেশিন, চেন শ, ফগার মেশিন, আর্থ অগার সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখা প্রধানদের হাতে তুলে দেন মেয়র। সভায় দাপ্তরিক শৃঙ্খলা আনয়নে অটোমেশন হাজিরা, নগর ভবনের সকল শাখা, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোজন নিয়ে আলোচনা হয়।
রাসিকের যোগাযোগ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, মাননীয় মেয়রের একান্ত সচিব আলমগীর কবির, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, নির্বাহী প্রকৌশলী যান্ত্রিক রেয়াজাত হোসেনসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।