ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। ধর্মীয় সম্প্রীতির কোন বিকল্প নাই। এ দেশে প্রত্যেকটি নাগরিক নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করে থাকে। যা বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। এ দেশে ৯০ ভাগ নাগরিক মুসলমান। হিন্দু, খ্রিস্টান বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মের নাগরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে এ দেশে বাস করে। ধর্মীয় সহিংসতা যে কোন দেশের উন্নয়নে বাঁধার প্রধান কারণ। দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছেতে জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। সকালে নগরীর মাইডাস রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে দি এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত শেয়ারিং ওয়ার্কসপ অন বিল্ডিং রিলিজিয়াস পিস এন্ড হারমনি শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন একথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ধর্মের দাপট, ভয় দেখিয়ে দেশ ত্যাগের মত ঘটনা ঘটেছে। ১৯৭১ সালে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নানান নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, খুন লুটতরাজের মত ঘটনা ঘটেছে। নানা প্রতিকুলতা পেরিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মত বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে ধর্ম ও বর্ণবাদের মত নানা ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশে এ রকম ঘটনা পরিলক্ষিত হয় না।
মেয়র বলেন, জঙ্গি তৎপরতা ও গাড়ি পোড়ানোর মত বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটিয়ে একটি গোষ্ঠি দেশের উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় পদক্ষেপে দেশ পরিচালনা করছেন ফলে সকল ক্ষেত্রে দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে এগিয়ে যাচ্ছে। যা আজ দৃশ্যমান। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে আগামী বিশ বছরের মধ্যে দেশ উন্নতির শিখরে পৌছে যাবে। অনুষ্ঠানে এশিয়া ফাউন্ডেশনের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন মেয়র লিটন।
দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাদাত সদরুদ্দিন শিবলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৈনিক সোনারদেশ সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম অফিসার সফিউল আওয়াল।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আব্দুর রাজ্জাক, গোদাগাড়ী সার্কেল রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জামিলুর রহমান, রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক সদরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ ফারুকী, মাদার্স ক্লিনিকের ডাঃ সায়লা, শেখ তাসনীম জামান, মোস্তফা সরকার বিজলী, আক্তার বানু পলি।
কর্মশালায় ইনোভেশন গ্রান্টস, লিড পিসকিপার, কমিউনিটি পিসকিপার ও ইআরইউ এর সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।