রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নব-নির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীসহ ২১জন নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের অন্তর্বতীকালীন কমিটির আহবায়ক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। সারাদেশে সড়কের উন্নয়ন ঘটছে। প্রশসত্ম রাস্তা-ঘাট, নতুন ব্রিজ হচ্ছে। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, প্রশস্ত নতুন নতুন রাস্তাঘাট হচ্ছে, সেই সাথে চালকদেরও ভালোভাবে গড়ে উঠতে হবে।
অনুষ্ঠানে মেয়র নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন ও শ্রমিকদের কল্যানে কাজ করার আহবান জানান।
রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও অন্তর্বতীকালীন আহবায়ক কমিটির সদস্য সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, অন্তর্বতীকালীন আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম, সদস্য ও ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু, সদস্য ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্যদেন রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালন কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রবিউল হক কাঁকর। রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন অন্তবর্তীকালীন কমিটির আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, মাননীয় মেয়র‘র একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৭ সালের ২৪ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেদিন ভোট গণনা শেষ হলেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় গোলাগুলি ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়েল ঘটনা ঘটে। আহত হন নির্বাচন কমিশনার। পরে সে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি দিয়েই চলছিল মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। চলতি বছরের ২২ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে দায়িত্ব দিয়ে যান। এরপর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মাথায় গত কমিটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। ৪ অক্টোবর সুষ্ঠুভাবে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।