Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবেঃ মেয়র লিটন


প্রকাশন তারিখ : 2019-09-18

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এক। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। ধর্ম নিয়ে যাতে কেউ বাড়াবাড়ি না করে সেকথা তিনি বলেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না তখন সংখ্যালঘু ও অন্য ধর্মালম্বীদের নির্যাতিত হতে হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চমৎকার সম্প্রীতি বিদ্যমান। এই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় সজাগ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার রাত আটটায় নগর ভবনের সিটি হলরুমে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত-শিবির ঘাপটি মেরে আছে, কোন কোন জায়গায় তারা রং বদলিয়েছে। নিজেদের বাঁচাতে আওয়ামী লীগে অনপ্রবেশ করেছে। দল থেকে এসব হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দিতে হবে।

মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। আর ১০/১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকার যদি যদি একটানা ক্ষমতায় থাকে তাহলে বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে ফিরে তাকাতে হবে না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি, তিনি যাতে সেটি করতে পারেন। তাহলে ২০৪১ সাল নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হবে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দর্শন এবং তাঁর নেতৃত্বে সর্বধর্মের সমন্বয়ের স্বাধীন বাংলাদেশ পছন্দ হয়নি ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক ভাবাপন্ন অপশক্তির। তাই তারা পঁচাত্তরের মধ্য আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে জাতির ইতিহাসকে বিপরীতমুখী করার সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালায়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বপ্রকার সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঘটিয়ে, নিয়ত কলঙ্কিত করে এই ভূখন্ডের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে। তবে জাতির সৌভাগ্য এই যে, পিতার জীবন দর্শনকে আত্মস্থ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বে দেশ ও জাতিকে আবার ইতিহাসের সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছেন। আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী সামনে রেখে আগামী ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বছরব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আদর্শ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তবে মৌলবাদি, ধর্মান্ধরা প্রত্যাখিত হবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহবানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। আমরা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ শুনলে শিহরিত হয়ে উঠি। এখন আমাদের নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের মহান আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা বুঝতে পারে কত রক্তের বিনিময়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশের পথে। এখন আমাদের সবাইকে একসাথে দেশের জন্যে কাজ করে যেতে হবে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে সাবেক সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান। সভায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রানসহ সব ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষেরা অংশ নেন।