আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেললাইনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করার জন্য রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এমপি বরাবর ডিও লেটার দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার ডিও লেটার প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে রেললাইনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রীকে দেওয়া ডিও লেটারে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন উল্লেখ করেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা যত বেশি ভালো হবে শিল্পের প্রসারসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন তত বেশি গতিশীল হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে রেলপথের ভূমিকা অত্যমত্ম গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিককালে রাজশাহী’র সাথে রাজধানীর সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেললাইন থাকার কারণে সাবলীল রেল যোগাযোগে কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে মানুষ রেলপথে পরিপূর্ণ সেবা গ্রহণ করতে পারছে না। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপস্নবিক পরিবর্তন। সেই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাজশাহী-আব্দুলপুর সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেললাইনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করা প্রয়োজন। ডাবল লাইন নির্মিত হলে রাজশাহীর সাথে সরাসরি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়া, রংপুর ও লালমনিরহাট ইত্যাদি স্থানে সাবলিল ট্রেন যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে করে যাত্রীসেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি মালামাল পরিবহণ বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনীতির চাকা আরও বেগবান হবে বলে বিশ্বাস করি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেললাইনটি ডাবল লাইনে উন্নীতকরণের বিকল্প নেই। সেজন্য এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রেলমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি আমার নির্বাচনী এই প্রতিশ্রুতিও দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালুকরণ সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি ছিল। গত ২৫ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রাজশাহী-ঢাকা প্রথম বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনের মাধ্যমে মেয়র লিটনের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়।