পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাজশাহী মহানগরী দেশের এক নম্বর নগরী রূপে ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। যা দেশের একশটি নগরীর মধ্যে এক নম্বরে। দেশের অন্য যে কোন নগরীর চেয়ে পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহীর এ অর্জন সত্যি প্রশংসার দাবিদার। আমাদের এ অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। বিকেলে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে স্টাফ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন একথা বলেন।
তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নগরবাসীর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পরিচ্ছন্নতা ও ফুটপাত মুক্ত করণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর প্রচার সংশিস্নষ্ট সকল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ১লা জানুয়ারি হতে অপসারণ করা হয়েছে। নগরী ফিরে পেয়েছে তার চির চেনা পরিচ্ছন্ন চেহারা। এজন্য এ কাজে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান মেয়র।
মেয়র বলেন, শূণ্যপদ পূরণসহ দাপ্তরিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে সকল কার্যক্রমে গতি আনয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। রাসিকের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে গতির সঞ্চার করতে হবে। নগরীর উন্নয়নে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন মেয়র।
রাসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সরিফুল ইসলাম বাবু, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত-১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাঃ তাহেরা বেগম মিলি, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নজরুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মতিউর রহমান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ তৌহিদুল হক সুমন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাঃ আয়েশা খাতুন, সংরক্ষিত ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাঃ শিরিন আরা খাতুন, ৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাঃ মাজেদা বেগম, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এএফএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, নির্বাহী প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, নির্বাহী প্রকৌশলী রেয়াজাত হোসেন রিটু, রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ সাঈদ, ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন, প্রধান কর নির্ধারক মোঃ মঞ্জুরুল আলম, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ নিজামুল হোদা, ভান্ডার কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনারুল হক ও রাসিকের বিভিন্ন শাখার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।