রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় প্রজাপতি কর্ণার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজাপতি কর্ণার তৈরির লক্ষ্যে বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় উদ্যোনের কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রজাপতি গবেষক ড. এম.এ বাশার। পরিদর্শন শেষে দুপুরে নগর ভবনে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তাঁরা।
পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ড. এম.এ বাশার বলেন, প্রজাপতি কর্ণার তৈরির জন্য রাজশাহীর পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। এখানের প্রজাপতি কর্ণারে প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রজাপতি রাখা যেতে পারে। এজন্য প্রজাপতির জন্য আদর্শ আবাসস্থল গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় প্রজাপতি কর্ণার গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নিচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। প্রজাপতি কর্ণার থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ প্রজাপতির জীবনচক্র, গাছের সাথে সম্পর্ক, পরাগায়ন এবং পরিবেশ উন্নয়নে প্রজাপতি কী ভুমিকা রাখছে, তা স্বচক্ষে দেখতে পাবে এবং জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পাবে।
জায়গা পরিদর্শনকালে মাননীয় মেয়র‘র একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বন বিভাগ যৌথভাবে প্রজাপতি পার্ক তৈরি করা হয়েছে। ২০১২ সালের ১জুন এই প্রজাপতি পার্কের উদ্বোধন করা হয়। এ পার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ বাশার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রজাপতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর গবেষণা সফল করতে বন বিভাগ ২০০৭ সালে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ১০ একর ভূমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ দেয়। এখানেই গড়ে উঠেছে উন্মুক্ত প্রজাপতি গবেষণা উদ্যান।