রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দেশে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের জয়জয়কার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আর দেশের এই উন্নয়নে শ্রমিকদের অনেক অবদান রয়েছে।
দুপুরে শহীদ এ.এইচ.এ কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ও শ্রম কল্যান কেন্দ্র যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা শ্রম দেয়, তারা সবাই শ্রমিক। কেউ শারীরিক শ্রম দেয়, কেউ মানসিক, কেউ মেধা দিয়ে শ্রম দেয়। কৃষকেরাও শ্রমিক। কৃষকদের শ্রমে বাংলাদেশ খাদ্রে্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের শ্রমে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অন্যতম শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ। এজন্য আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের ধন্যবাদ জানাই।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, দেশের ১০ ভাগ মানুষের কাছে প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পদ আছে। বাকি ২০ ভাগ সম্পদ আছে ৯০ ভাগ মানুষের হাতে। সম্পদের যদি সুষম বন্টন হতো, তাহলে শ্রমিক ভাইয়েরা ভালো থাকতেন, আমরা সবাই ভালো থাকতাম।
মালিক-শ্রমিক কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয় জানিয়ে মেয়র বলেন, অনেক সময় গার্মেন্টস,শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। কুচক্রি মহলের ইন্ধনে যে প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকেরা কাজ করে সেখানে তারা ভাংচুর চালায়। এসবের পেছনে কারা ইন্ধুন জোগায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
আগামীতে শ্রমিকদের যথাযথভাবে কাজে লাগানো ও সুন্দর কর্মপরিবেশ সৃষ্টির প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে ইতোমধ্যে তিনটি শিল্প অঞ্চল অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসবে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে। আমরা সবাইকে মিলে একসাথে রাজশাহীতে গড়বো।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন। শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধির বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধির বক্তব্য দেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্টাস্ট্রি এর পরিচালক সাদরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বদরুজ্জামান খায়ের ও জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ খাঁন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক রাজিয়া সুলতানা ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহা-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভূইয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগীয় শ্রমি দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন অগ্রণী স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রোকন মাসুম।