রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিগত সময়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সরকারের প্রচেষ্টা ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এসব ঘটনা কমে গেছে। এখন শিশুশ্রম প্রতিরোধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। আমাদের সবাইকে হতে হবে সচেতনও।
হোটেল ওয়ারিসনে ওয়েভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব শিশু প্রতিরোধ দিবস-২০১৯ ও শিশু পরিস্থিতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।
আলোচন সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে শ্রমিক হিসেবে আমরা একজন শিশুকেও নেয় না। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন শিশু শ্রমকে উৎসাহিত করে না। আমি শিশুদের শ্রমে নিয়োগ না দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব। তিনি তার প্রবন্ধে উলেস্নখ করেন, রাজশাহী বিভাগে শিল্পায়ন কম হওয়ায় শিশু শ্রমও কম হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি বৈপরিত্যে ভরপুর। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে নাটোর জেলায় শিশুশ্রম সবচেয়ে বেশি আর জয়পুরহাট ও পাবনা জেলা শিশুশ্রম সবচেয়ে কম। রাজশাহী জেলায় শিল্পা কারখানা কম থাকায় এ অঞ্চলে ফরমাল শিশুশ্রম দেখা না গেলেও সেমি ফরমাল ও ইনফরমাল এ বিপুল সংখ্যক শিশুকে কাজ করতে দেখা যায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার আব্দুল সালামের সভাপতিত্বে আলোচন সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক রাশেদুল কবীর, স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারম্নল হাসান মিলস্নাত, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন শিশু অধিকার এর সমন্বয়ক অফিসার পাবলো নেরুদা প্রমুখ।