রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী পহেলা মার্চ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শিল্পাকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পহেলা মার্চ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন শুরু মাস মার্চে পুরো রাজশাহী সাজবে মুজিববর্ষের সাজে, একইসাথে আড়ম্বরভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, রাজশাহীর যে সন্তান ১০ বছর বিদেশে থেকে রাজশাহীতে ফিরে এসেছে, সে এসে দেখছে পুরো রাজশাহী বদলে গেছে। বাংলাদেশে এখন কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, বাস্তবে নেই। দেশের সর্বক্ষেত্রে সব এলাকার উন্নয়ন ঘটেছে। যাদুকরী পরিবর্তন যাদুর কারণে হয়নি, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে শিল্পউন্নতে দেশে পরিণত করছেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা। দলের দুর্দিনে নেতা ভোল্ট পাল্টিয়েছে, কিন্তু কর্মীরা পাল্টাইনি, কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, কেউ যত বড় দায়িত্ব পান, তাকে তত বিনয়ী হতে হয়। দায়িত্বে থাকলে বিনয়ী হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ বর্তমানে একটা শক্তিশালী জায়গায় পৌছে গেছে। এটিকে আমরা ধরে রাখতে চাই। আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে দল আরো শক্তিশালী হবে। সম্মেলনের পর আমরা সেটি আরো ভালোভাবে জানান দিবো।
বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিকুর রহমান কালু, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু, শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহুসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃমূলের নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ভাই রাজশাহীকে বিএনপি-জামায়াত মুক্ত করে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে সুংগঠিত ও শক্তিশালী করেছেন। এক সময় বিএনপি-জামাতের আস্তানা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর এই জনপদ খায়রুজ্জামান লিটনে নেতৃত্বে এখন আওয়ামী লীগের দখলে। রাজশাহীতে লিটন ভাইয়ের নেতৃত্ব মেনেই আমরা রাজনীতি করে যেতে চাই।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে নেতৃমূলের নেতাকর্মীরা আরো বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ভাইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পাবেন, এটি আমরা রাজশাহীবাসী আশা করেছিলাম। কারণ লিটন ভাইয়ের সব যোগ্যতা রয়েছে। তিনি পদ না পাওয়ায় আমরা আশাহত হয়েছি।
বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য নরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, প্রফেসর মেরিনা জাহান। সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
বর্ধিত সভায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনার সন্তান এ.এইচ.এম এহ্সানুজ্জামান স্বপন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, মাহফুজুল আলম লোটন, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, শাহাদত হোসনে, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোসত্মাক হোসনে, নাইমুল হুদা রানা, সাংগঠিনক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকারসহ মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিরাজ উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতুসহ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।