জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ১ জুন পালন উপলক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় ওরিয়েন্টেশন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাসিকের স্বাস্থ্য শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম শরীফ উদ্দিন।
গভায রাজশাহীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বিষয়ে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ.বি.এম শরীফ উদ্দিন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে সারাদেশে পালিত হবে ১ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। নগরীতে কোন শিশু যেন এ কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে রাজশাহী সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ইপিআইসহ স্বাস্থ্য খাতে রয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাফল্য। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা হতে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ৬-১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৮শ ৬৮জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৬ হাজার ৫শ ৬৪ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় রাজশাহী মহানগরীতে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
সভায় আরো বক্তব্য দেন পরিচালক স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার তামান্না কবীর। সভায় রাসিকের স্বাস্থ্য স্থায়ী কমিটির সদস্য ৪নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলফাতুন নেসা, ৩নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সেবুন নেসা, রাসিকের বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্মকর্তা নাজমা খাতুন, সিটি হাসপাতালের ডা: আমিনা ফেরদৌস, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ দুলাল হোসেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণসহ রাসিকের স্বাস্থ্যকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন রাসিকের ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হক।