Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বাজেট বক্তৃতা


প্রকাশন তারিখ : 2023-11-15
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সিটি কর্পোরেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ আস্সালামু আলাইকুম। 
 
পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি, যিনি আমাকে তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ প্রদান করেছেন। আমি বিনম্র চিত্তে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণকে। আমি আরো গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় চার নেতা সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, যিনি আমাকে তার ¯েœহছায়ায় রেখেছেন। 
 
পরিচ্ছন্ন, সবুজ, শিক্ষা ও আমের রাজধানীখ্যাত পদ্মা নদীর পাশে গড়ে উঠেছে প্রাচীন জনপদ রাজশাহী নগরী। হযরত শাহ্ মখদুম (রহঃ) ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান এবং   দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহা এই নগরীতে চিরশায়িত আছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রায় ১০ লক্ষ জনগোষ্ঠীর রাজশাহী মহানগরী দেশীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে সবুজ, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশসম্মত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রিয় নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের নিরলস প্রচেষ্টায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। নগরীর অনেক কীর্তিমান ব্যক্তি যারা আমাকে চিন্তা-চেতনা পরামর্শ দিয়ে এই আধুনিক শহর বিনির্মাণে সহায়তা করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
 
সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ,
আজ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৭ম পরিষদের ১ম বাজেট। নগরবাসীর আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা ও রাজশাহী মহানগরীকে স্মার্ট নগরীতে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের  সংশোধিত বাজেট ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছি। বাজেট হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিকল্পনার চিত্র, যেখানে সুনির্দিষ্ট একটি বছরের সম্ভাব্য বরাদ্দসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পিত ভবিষ্যৎ কর্মসূচির সার্বিক রূপরেখা প্রতিফলিত হয়। 
 
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশনের আইন ২০০৯ দ্বারা পরিচালিত হয়। এছাড়া সরকার কর্তৃক স্থানীয় সরকার এর বিভিন্ন বিধিমালা রয়েছে, যা অনুসরণ করতে হয়। বাজেটে রাজস্ব আয়ের জন্য বিভিন্ন কর, অন্যান্য সম্পদ আহরণ এবং ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রনয়ন ও  বাস্তবায়ন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সর্ম্পকে মৌলিক ধারণা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি বাস্তবায়ন, পরিবেশ দুষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণে করণীয়, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ, অফিস ব্যবস্থাপনা আধুনিকরণ, ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনা, শ্রদ্ধাচার কৌশল পত্র এবং বাৎসরিক বাজেট প্রনয়ন করতঃ এগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
 
এবার আমার নির্বাচনী ¯েøাগান ছিল ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’। আগামী দিনে আমি ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি সহ আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতিসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা, ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের দেশ হবে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। সেই পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট রাজশাহী বিনির্মাণে ৮ই আগস্ট ২০২৩ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সাথে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গত ১৪ই অক্টোবর হতে ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তথ্য  ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ৬ দিনব্যাপি রাজশাহী মহানগরীর সকল সেবা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ও রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ও দেশের প্রথিতযশা প্রকৌশলী, জনপ্রতিনিধি নিয়ে আগামীর স্মার্ট রাজশাহীর ধারণাপত্র তৈরী করা হয়েছে। এতে মোট ১৬২টি ইনিশিয়েটিভ রয়েছে, যা আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
 
বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা বর্তমান সরকারের অন্যতম সাফল্য। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, গৃহহীনদের জন্য আবাসন, কৃষিতে অভ‚তপূর্ব উন্নয়নসহ বাংলাদেশকে উন্নত ও মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের চলমান, স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ইতোমধ্যে করেছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে রাজশাহী একটি উন্নত বাসযোগ্য স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর হবে। 
 
প্রিয় সাংবাদিক ও সহকর্মীবৃন্দ,
বিগত পাঁচ বছরে যে সকল উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হবে, তার বিস্তারিত বিবরণ আমি আপনাদের নিকট উপস্থাপন করছি:-
 
০১। রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প : ১৬৪
কোটি ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর আলুপট্টি মোড় হতে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত করে চারলেন সড়কে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। সড়কটির উভয় পাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। সড়কের আইল্যান্ডে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।
 
০২। রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক হতে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প : ১৮৯ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় হতে ছোটবনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর হয়ে চৌদ্দপায়া রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর ২টি মহাসড়কের পূর্ব-পশ্চিমমুখি ৬.৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও সড়কের দুই পাশে ফুটপাত, রেলওয়ে ক্রসিং-এ ১টি ফ্লাইওভার, ১টি ব্রীজ, ৮টি কালভার্ট, মিডিয়ান ও ট্রাফিক কাঠামো ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানজট পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে। একই সাথে প্রকল্প এলাকায় আবাসনসহ আর্থ-সামাজিক ও পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। 
 
০৩। রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় হতে সোনাদিঘী মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প : ১২৬ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ উপশহর মোড় হতে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে রাণীবাজার মোড় হয়ে সাগরপাড়া বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন হয়েছে। এর ফলে রাস্তার দুই ধারে বহুতল ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তৈরী হয়েছে।
 
০৪। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প :
১৯৮ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর ওয়ার্ডসমূহে ক্ষতিগ্রস্থ ও নতুন কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নগরীর বিলসিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা সড়ক ফোরলেনে উন্নীত করা হয়েছে, সাথে ড্রেন, ফুটপাত ও বাই সাইকেল লেন নির্মিত হয়েছে। সড়কটিতে দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতি সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সরণি সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় ৩৬.৮১ কিলোমিটার নতুন সড়ক, রাস্তা সংস্কার ৫৮.৬৯ কি.মি. ড্রেন ৩৩.৬০ কি.মি এবং ফুটপাত ১২.৪৩ কি.মি কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সড়কসমূহে দৃষ্টিনন্দন সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। 
 
 
 
০৫। রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক ও নর্দমা সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প:
৪৯ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর ওয়ার্ডসমূহের প্রান্তিক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কার্পেটিং, সিসি ও নর্দমা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়াও মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সোনাদীঘি মোড় হতে সদর হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত নির্মাণ এবং প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কার্পেটিং নতুন সড়ক ৪.৩২ কি.মি. কার্পেটিং রাস্তা সংস্কার ১.৪২কি.মি এবং সিসি রাস্তা ৫৩.২৯ কি.মি.এবং ৩৬.৭২ কি.মি. ড্রেন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
 
০৬। রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) :
১৯৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ‘রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৬.৩৬ কিলোমিটার প্রাইমারী, ১৯.২৯ কিলোমিটার সেকেন্ডারি এবং ৬৭.৭৫ কিলোমিটার টারশিয়ারি নর্দমা নির্মিত হয়েছে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে নর্দমার কাঁদামাটি অপসারণে ৯টি প্রাইমারি নর্দমার পাশে মোট ৮.৬৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নির্মিত নর্দমাসমূহে মহানগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।
 
চলমান উন্নয়ন প্রকল্প :
০১। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প :
২৯৩১ কোটি ৬১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর উন্নয়নে ১৯৬২ কোটি টাকার টেন্ডার আহŸান করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৮১৬ কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে হতে ইতোমধ্যে ১২২০ কোটি টাকা অবমুক্ত হয়েছে। বর্তমান ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের অত্র প্রকল্পে সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে। প্রকল্পের চলমান কাজের সামগ্রিক অগ্রগতি ৫৬%। 
রাজশাহী মহানগরবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘবে ৩০টি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ও নতুন রাস্তা এবং নর্দমা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় সিএন্ডবি মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে। মহানগরীর যানজট নিরসনে ৫টি ফ্লাইওভার ও একটি টানেল নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে মোহনপুর ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন শেষে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিলসিমলা, বন্ধগেট এবং নতুনপাড়া রেলওয়ে ক্রসিং-এ বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্ত¡রে ফ্লাইওভার নির্মাণে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভদ্রা মোড়ে অত্যাধুনিক টানেল নির্মাণের নকশা প্রণয়ন কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় ২৫০ কি.মি. কর্পোটিং সড়ক, ২৬৫ কি.মি.সিমেন্ট কনক্রিট সড়ক, ৩৫৬ কি.মি নর্দমা, ১০৪ কি.মি ফুটপাত নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন কার্পেটিং রাস্তা ৯৯কি.মি., কার্পেটিং রাস্তা পুনঃনির্মাণ ১০৭ কি.মি. কার্পেটিং রাস্তা প্রশস্তকরণ ৪৫ কি.মি, নতুন সিমেন্ট কনক্রিট ১৮৫ কি.মি.সিমেন্ট কনক্রিট পূন:নির্মাণ ৮০ কি.মি এবং প্রাইমারী ড্রেন ৪.৫ কি.মি. সেকেন্ডারী ড্রেন ৬০ কি.মি.টারসিয়ারী ড্রেন ২৯২ কি.মি.নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পের আওতায় ১৫ টি গণশৌচাগার, ৪ টি ওয়ার্ড কার্যালয় কাম কমিউনিটি সেন্টার,  ১০টি দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় গোরস্থানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন, ৪টি কাঁচা বাজার, প্রাকৃতিক জলাশয় সমূহের উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। মিঞাপাড়া পাবলিক লাইব্রেরী ও ধর্মসভার অবশিষ্ট অংশ নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।
 
প্রকল্পের আওতায় ৯৩ কোটি ৪৮ লাখ ব্যয়ে তালাইমারী মোড় হতে কাটাখালী বাজার পর্যন্ত অযান্ত্রিক যানবাহন লেনসহ ৬ লেন সড়ক নির্মাণ চলমান রয়েছে। ৪.১০ কিলোমিটার সড়কের মাঝে থাকবে ২ মিটারের সড়ক ডিভাইডার। ডিভাইডারের দুইপাশে দ্রæতগতির যানবাহন চলাচলের জন্য ১০.৫ মিটার প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। নিরাপদে চলচলের জন্য সড়কের উভয়পাশে থাকবে ৩ মিটার অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলের লেন ও ৩ মিটার প্রশস্ত ফুটপাত ও ড্রেন। সড়কটিতে দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি বসানো এবং সৌন্দর্য্য বর্ধণে ডিভাইডার ও সড়কের উভয় পাশে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। সড়কটির কাজ শেষ হলে রাজশাহী আরো নান্দনিক নগরীতে পরিণত হবে। 
 
৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর বন্ধগেট হতে সিটি হাট পর্যন্ত বর্তমান দুইলেন সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৩.৫৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি ২৪.২০ মিটার প্রশস্ত করা হয়েছে। উভয়পাশে ৭.৩০ মিটার রাস্তা, রাস্তার উভয় পাশের্^ ১.২০ মিটার ড্রেন ও ফুটপাত, ফুটপাত ও ড্রেনের উভয়পাশে ৩ মিটার করে ৬ মিটার ¯েøা মুভিং ভিহেকেল রাস্তা, রাস্তার মাঝে ১.২০ মিটার ডিভাইডার নির্মাণ হয়েছে। ফলে উক্ত সড়কটি নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন হয়েছে।
 
ভদ্রা মোড় রেলক্রসিং হতে পারিজাত লেক হয়ে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত অযান্ত্রিক যানবাহন লেনসহ চারলেন সড়কের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। ৪ দশমিক ১৭ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সড়কটি ২৪.২০ মিটার প্রশস্ত করা হয়েছে। ফোরলেনের সড়ক ছাড়াও দুই লেনের অযান্ত্রিক যানবাহন লেন, সড়ক বিভাজক ও দুইপাশে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কগুলোর আইল্যান্ডে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন করা হবে। সড়কটি নির্মাণে অত্র এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
 
রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৯টি জলাশয়ের মধ্যে ১২টি জলাশয়ে মাটি খনন, সাইট ফিলিং, প্রতিরক্ষা প্রাচীর, ওয়াকওয়ে ও বিভিন্ন সৌন্দর্য্য বর্ধন নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। গোলজারবাগ লেক, সপুরা গোরস্থান-১ পুকুর, দড়িখরবোনা গোরস্থান, পবা নতুনপাড়া ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্বপাশের্^, বুলনপুর পুকুর, ২৩নং ওয়ার্ডের কালীপুকুর উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর দৃষ্টিনন্দন সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় শেখ রাসেল শিশু পার্ক, লালনশাহ্ পার্ক, ভ‚বনমোহন পার্ক, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের উন্নয়ন করা হয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঈদগাহ, গোরস্থান, শশ্মানঘাট উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক সংলগ্ন সড়ক, কোর্ট ঢালুর মোড় হতে কাশিয়াডাঙ্গা সড়ক, সপুরা থেকে পোস্টাল একাডেমি পর্যন্ত সড়ক সহ বিভিন্ন সড়ক ও গুরত্বপূর্ণ মোড় প্রশস্ত করা হয়েছে। ফলে নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
 
০২। হযরত শাহ্ মখদুম রূপোশ (র.) দরগাহ শরীফের উন্নয়ন প্রকল্প:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার ‘হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (র.) দরগাহ শরীফের উন্নয়ন প্রকল্প’ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের আওতায় শাহ মখদুম রূপোশ (র.) দরগাহ শরীফের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মসজিদ ও মাজার কমপ্লেক্স নির্মাণে স্থাপত্য নক্সা ও প্রকৌশল নক্সা প্রণয়ন ও নির্মাণ তদারকিতে পরামর্শক নিয়োগ, ৪ তলা মাজার কমপ্লেক্স-এর প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, ৪ তলা মিনারসহ মসজিদ নির্মাণ, মাজার নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্রবেশ গেইট নির্মাণ ও ল্যান্ড স্কেপিং করা হবে। ইতোমধ্যে এটির জন্য পরামর্শক নিয়োগসহ ট্রেন্ডার আহবান করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
০৩। শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এঁর সমাধিসৌধ নির্মাণ প্রকল্প :
৩০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এঁর সমাধিসৌধ নির্মাণ প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন হয়ে বর্তমান অর্থ বছরে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও জাতীয় চার নেতার অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘ মেয়াদে রাজশাহী এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে। দেশের মানুষ আমাদের গৌরব জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এঁর জীবনাদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে। বর্তমান সমাধিসৌধের ভূমি অপ্রতুল হওয়ায় প্রকল্পের আওতায় ১.২৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে আধুনিক স্থাপত্য নক্সা অনুসরণে সৌধ নির্মাণ করা হবে। যা বাস্তবায়িত হলে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে রাজশাহী মহানগরী অনেক গুরুত্ব পাবে।
 
০৪। লোকাল গর্ভমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপনস এ্যান্ড রিকভারি শীর্ষক প্রকল্প:
লোকাল গর্ভমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপনস এ্যান্ড রিকভারি শীর্ষক প্রকল্প এর আওতায় ৫৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪.৯২৭ কি.মি কার্পেটিং রাস্তা, ৮১৫ মি ফুটপাথ, ১৯৮০ বর্গ মিটার নার্সিং ইন্সটিটিউটের সংস্কার কাজ, ৫টি সিডিসি ক্লাষ্টার অফিস ও মার্কেট, ৪২০০ বর্গ মিটার, সিটি হাসপাতাল এর মেরামত কাজ, ১.৬০৫ কি.মি. আরসিসি ড্রেন, ১১৪০ বর্গ মিটার নগরপাড়া শিশু পার্ক নির্মান, ৫০টি ইলেকট্রিক পোল বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।
 
প্রিয় সহকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ,
আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন:
রাজশাহী মহানগরীর আলোকায়ন ব্যবস্থা আরো আধুনিকায়ন, রাতে নাগরিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিত করতে মহানগরীর ১৭টি চত্বরে ১৮টি আধুনিক মানের সুুউচ্চ বিদ্যুৎ লাইটের পোল স্থাপন করা হয়েছে।
 
তালাইমারি মোড় থেকে আলুপট্টি পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার সড়কের আইল্যান্ডে বসানো হয় ১৩০টি আধুনিক সড়কবাতির দৃষ্টিনন্দন পোল। প্রতিটি পোলের মাথায় লাগানো হয়েছে ১৩টি আধুনিক লাইট। এছাড়া সড়ক সংলগ্ন বাঁধে স্থাপন করা হয়েছে ১৮০টি আধুনিক সুদৃশ্য গার্ডেন লাইটের পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ৫টি অত্যাধুনিক লাইট। অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে ও নিভে।
 
বিলসিমলা রেল ক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত ৪.২ কিলোমিটার সড়ক দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতি সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। সড়কটিতে ১৭৪টি খুঁটির প্রতিটিতে দুইটি করে মোট ৩৪৮টি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে।
 
বিমান চত্বর হতে বিহাস পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকিত করা হয়েছে। সড়কটিতে ২৮৫টি ডেকোরেটিভ পোলে বসানো হয়েছে ৫৩০টি অত্যাধুনিক এলইডি বাল্ব।
 
নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল মোড় পর্যন্ত থেকে ভদ্রা মোড় রেলক্রসিং পর্যন্ত ফোরলেন সড়কে ৪ দশমিক ১৭ কিলোমিটার সড়কের আইল্যান্ডে ১৬৫টি দৃষ্টিনন্দন পোল বসানো হয়েছে। প্রতিটি পোলে ২টি করে মোট ৩৩০টি অত্যাধুনিক এলইডি বাল্ব লাগানো হয়েছে।
 
তালাইমারি মোড়ে হতে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত ৪ দশমিক দুই কিলোমিটার সড়কে বাসানো হয়েছে ১৭২টি দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতির পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ১৩টি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অত্যাধুনিক এলইডি বাতি।
 
আলুপট্টি মোড়ে হতে কোর্ট পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কে বাসানো হয়েছে ১৮৩টি দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতির পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ১৩টি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অত্যাধুনিক এলইডি বাতি।
 
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি:
সুস্থ্য-সবল, মেধাবী ও মাদকমুক্ত জাতি গঠনে পড়াশোনার পাশপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। তাইতো ক্রীড়া  ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে জাহানারা জামান স্মৃতি স্টেডিয়ামে কিশোর ফুটবল একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। ২০০ জন খেলোয়াড়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সারা বছর চলে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন করে যাচ্ছে।
আগামীতে পর্যায়ক্রমে কাউন্সিলর গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, স্কুল ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বয়স ভিত্তিক ফুটবল ও ক্রিকেট স্কুল টুর্নামেন্ট, মেয়র কাপ টেবিল টেনিস, মুষ্টিযুদ্ধ, স্কুল পর্যায়ে বালক বালিকা এ্যাথলেটিস, মেয়র কাপ কাবাডি, মেয়র ভলিবল, হ্যান্ডবল, হকি (পুরুষ-মহিলা), মেয়র কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট, আন্ত:সিটি কর্পোরেশন মেয়র গোল্ড কাপ ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় রাজশাহীতে নির্মিত হচ্ছে বহুল কাঙ্খিত বিকেএসপি। পবা উপজেলার খিরসন মৌজার অভয়ের মোড় এলাকায় প্রায় ১৭ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। ক্রীড়ার উন্নয়নে সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
 
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে ২০২২ সালের ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রæয়ারি ‘ভারত-বাংলাদেশ ৫ম সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, রাজশাহী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিলনমেলায় দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বক্তিবর্গ অংশ নেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, রাজশাহীর যৌথ আয়োজনে জয়সালমের বিট সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
 
প্রিয় সহকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ,
রাজশাহী মহানগরীর ৪৪টি গোরস্থান ও ২৮টি ঈদগাহ এর উন্নয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উত্তরপূর্ব কোণে বৃহত্তর ১৯নং ওয়ার্ডবাসীর এবং ২৬নং ওয়ার্ডের চন্দ্রিমা আবাসিক, মহানন্দা আবাসিক, পদ্মা আবাসিক এলাকার ও ১৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণপূর্ব এলাকাসহ মুশরইল এলাকার মৃতদেহ দাফনের জন্য পারিবারিক কবরস্থান ছাড়া কোন কবরস্থান না থাকায় অনেক দূর পথ অতিক্রম করে দাফন কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এতে জনসাধারণের বিশেষ অসুবিধা এবং প্রাকৃতিক
দুর্যোগকালীন লাশ দাফনে খুবই দুর্ভোগে পড়তে হয়। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ণে জমি অধিগ্রহণ করে কবরস্থান ও ঈদগাহ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ঈদগাহ মাঠটি খেলার মাঠ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপন:
রাজশাহী শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী এ মহানগীর উন্নয়ন ও বিকাশের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। এ নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা তথা নদী সচল রাখার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র একান্ত ইচ্ছায় পদ্মা নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছিল। পুনরায় ড্রেজিং কার্যক্রম চালুর জোর চেষ্টা চলছে। রাজশাহী থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া ও ধুলিয়ান পর্যন্ত নৌ প্রটোকল রুট চালুর বিষয়ে গত ৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিআইডবিøউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। নৌরুট চালু করা সম্ভব হলে ভারতের সাথে আমদানি রপ্তানির নতুন করিডোর হবে পদ্মা নদী। এখানে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে নৌপথে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হতে মালামাল অনেক কম খরচে পরিবহন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও মালামালগুলি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলাতেও অনেক কম খরচে পৌছানো যাবে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং বেকার সমস্যারও সমাধান হবে।
রাজশাহী-আব্দুলপুর রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ:
আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেললাইনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করার প্রচেষ্টা রয়েছে। 
আপনারা অবগত আছেন, মহানগরবাসী দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন ট্রেন চালু। এটি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিশ্রæতি। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী-ঢাকা রুটেবিরতীহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রা শুরু করে বহুল কাঙ্খিত বিরতিহীন ট্রেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হতে রাজশাহী হয়ে ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিশেষ পার্শ্বেল ট্রেন ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হয়েছে। এই বিশেষ ট্রেনে আম ছাড়াও লিচু, মৌসুমি ফল, ডিমসহ সব ধরনের কৃষিপণ্যও কম খরচে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বছরব্যাপী পরিবহনে যদি বিশেষ কার্গো ট্রেন চালু করা সম্ভব হয়, তাহলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বিমানবন্দর স¤প্রসারণের উদ্যোগ:
 হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১১ জুলাই ঢাকায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সচিব মোঃ মহিবুল হকের সাথে বৈঠকে করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দরে উন্নীত করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ে ডিও লেটার করা হয়। এরপরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরটির রানওয়ে স¤প্রসারণ ও উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করে উক্ত মন্ত্রণালয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে শাহ মখদুম বিমানবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল স¤প্রসারণ ও নবরুপায়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান টার্মিনাল ভবন নবরুপায়ন, স¤প্রসারণ ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রবর্তন করা হবে।
 
আন্তর্জাতিক পরিমÐলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শাখা খোলা হয়েছে। এই শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে ঔওঈঅ, কঙওঈঅ, অউই সহ কয়েকটি বিদেশী দাতা সংস্থার সাথে যোগযোগ চলমান রয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যপ্তি ঘটানোর জন্য সামনে আরো কাজ করা হবে। ঈরঃু ঘবঃ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সিটি প্লাটফর্ম গুলোতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্মতৎপরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের রাজশাহীতে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী করা হচ্ছে। আপনারা অবগত আছেন, করোনা মহামারির পূর্বে ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ইন্দোনেশিয়া, কানাডার রাষ্ট্রদূত, ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ রাজশাহী সফর করেছেন। আগামীতেও বিভিন্ন দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে রাজশাহীর উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নেওয়া হবে।
বিনোদনকেন্দ্রের উন্নয়ন:
শহীদ এ.এইচ. এম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা রাজশাহী মহানগরীর একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরও আকর্ষনীয় করে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী “নভোথিয়েটার” নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চিড়িয়াখানার অফিসের সামনের পুকুর সংস্কার ও কাদামাটি উত্তোলনের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের প্রদর্শণীর জন্য রঙ্গিন মাছ ছাড়া হয়েছে। চিড়িয়াখানার ২য় তলা ও ৩য় তলায় গেষ্ট হাউজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
রাজশাহীর প্রধানতম পর্যটন এলাকা পদ্মাপাড়। বিনোদনের অন্যতম এ এলাকাটি আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১৩ ফেব্রæয়ারি হযরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিতি। পাদ্মপাড়ের লালনশাহ পার্কের উন্নয়ন কাজও এগিয়ে চলছে। বিনোদনপ্রেমীর আকর্ষণ করতে পদ্মাপাড়ে ২টি বিচ বাইক ও ১০টি বিচ চেয়ার চালু করা হয়েছে।
শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণ: 
রাজশাহী মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড ছোটবনগ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। শিশু পার্কটির উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। শেখ রাসেল শিশুপার্কে থাকবে উন্নতমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আধুনিক প্রবেশ গেট, ওয়াটার বডি, দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ, মুক্তমঞ্চ, সবুজায়ন, কৃত্রিম টিলা, শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড, চলাচলের জন্য রাস্তা, পাবলিক টয়লেট সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। শেখ রাসেল শিশুপার্কের নির্মাণ কাজ শেষ করে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান:
আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে রাজশাহীতে তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন। এরমধ্যে বিসিক কর্তৃক বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পটি রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কেচুয়াতৈল এলাকায় ৫০ একর জায়গায় ১৭২ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। রাজশাহীতে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৪ জুলাই প্রকল্পটির কাজের উদ্বোধন করা হয়। বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের শিল্প প্লট বরাদ্দ প্রদানের বিষয়ে ইতিমধ্যে পত্রিকায় আবেদন আহবান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশের বড় বড় শিল্প গ্রæপকে রাজশাহীতে বিনিয়োগে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক পুরোপুরি চালু হলে সেখানে ১৪ হাজারের অধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ও বিকেএসপি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং প্রকল্পের পাশর্^বর্তী এলাকাসমূহে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে শহর আরো বিকশিত  ও কর্মমুখর হবে। ইতোমধ্যে নগরীতে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
প্রিয় সহকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ,
ওয়ার্ড কার্যালয়কে সেবার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনা
আমরা জানি ওয়ার্ড কার্যালয় নাগরিক সনদ, টিকা দান কর্মসূচি ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ কাউন্সিলরের মাধ্যমে ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে বাস্তবায়ন করা হয়।
ক. ভাতা কর্মসূচি: 
১. বয়স্কভাতা, ২. দুস্থ মহিলাভাতা, ৩. অসচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা।
খ. খাদ্য নিরাপত্তা ও দুর্যোগ সহায়তা:
১. ভিজিএফ, ২. ও এম এস, ৩.টিআর, ৪. ভিজিডি, ৫. জিআর, ৬. গৃহায়ন সহায়তা, ৭.অতি দরিদ্রদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, ৮.প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
গ. কর্মসংস্থান সৃজন/ সরকারি কাজ:
১. কর্মজীবি মায়েদের সহায়তা প্রকল্প, ২. দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, ৩. দুস্থ মহিলাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি (বৃত্তিমূলক শিক্ষা)।
ঘ. মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক ক্ষমতায়ন:
১. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, ২. অতি দরিদ্র চিহ্নিতকরণ, ৩. ড্রপআউট শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, ৪.ভিজিডি-অতিদরিদ্র নারীদের জন্য, ৫. মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম। 
ঙ. নগর দারিদ্র বিমোচন:
১. কর্মজীবি শহরে শিশুদের মৌলিক শিক্ষা।
চ. অন্যান্য ভাতা কর্মসূচি:
১. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি, ২. এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পূর্র্ণবাসন, ৩.শহর সমাজ সেবা কার্যক্রম, ৪. শিশু বিকাশ, ৫. প্রতিবন্ধী ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার।
 
ভাতা প্রদান কর্মসূচি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের ভূমিকা:
মুখ্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সমূহ অধিকাংশ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত
হয়।
সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয়ের মাধমে উপকার ভোগী প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন হয়। উপকারভোগী এবং সেবা
প্রদানকারীর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড কার্যালয় যোগাযোগের মাধ্যমে হিসেবে সেবা প্রাপ্তিতে
শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান:
আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে রাজশাহীতে তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন। এরমধ্যে বিসিক কর্তৃক বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পটি রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কেচুয়াতৈল এলাকায় ৫০ একর জায়গায় ১৭২ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। রাজশাহীতে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৪ জুলাই প্রকল্পটির কাজের উদ্বোধন করা হয়। বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের শিল্প প্লট বরাদ্দ প্রদানের বিষয়ে ইতিমধ্যে পত্রিকায় আবেদন আহবান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও চামড়া শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশের বড় বড় শিল্প গ্রæপকে রাজশাহীতে বিনিয়োগে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক পুরোপুরি চালু হলে সেখানে ১৪ হাজারের অধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ও বিকেএসপি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং প্রকল্পের পাশর্^বর্তী এলাকাসমূহে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে শহর আরো বিকশিত  ও কর্মমুখর হবে। ইতোমধ্যে নগরীতে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
প্রিয় সহকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ,
ওয়ার্ড কার্যালয়কে সেবার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনা
আমরা জানি ওয়ার্ড কার্যালয় নাগরিক সনদ, টিকা দান কর্মসূচি ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ কাউন্সিলরের মাধ্যমে ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে বাস্তবায়ন করা হয়।
ক. ভাতা কর্মসূচি: 
১. বয়স্কভাতা, ২. দুস্থ মহিলাভাতা, ৩. অসচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা।
খ. খাদ্য নিরাপত্তা ও দুর্যোগ সহায়তা:
১. ভিজিএফ, ২. ও এম এস, ৩.টিআর, ৪. ভিজিডি, ৫. জিআর, ৬. গৃহায়ন সহায়তা, ৭.অতি দরিদ্রদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, ৮.প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
গ. কর্মসংস্থান সৃজন/ সরকারি কাজ:
১. কর্মজীবি মায়েদের সহায়তা প্রকল্প, ২. দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, ৩. দুস্থ মহিলাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি (বৃত্তিমূলক শিক্ষা)।
ঘ. মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক ক্ষমতায়ন:
১. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, ২. অতি দরিদ্র চিহ্নিতকরণ, ৩. ড্রপআউট শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, ৪.ভিজিডি-অতিদরিদ্র নারীদের জন্য, ৫. মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম। 
ঙ. নগর দারিদ্র বিমোচন:
১. কর্মজীবি শহরে শিশুদের মৌলিক শিক্ষা।
চ. অন্যান্য ভাতা কর্মসূচি:
১. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি, ২. এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পূর্র্ণবাসন, ৩.শহর সমাজ সেবা কার্যক্রম, ৪. শিশু বিকাশ, ৫. প্রতিবন্ধী ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার।
 
ভাতা প্রদান কর্মসূচি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের ভূমিকা:
মুখ্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সমূহ অধিকাংশ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরের কার্যালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত
হয়।
সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয়ের মাধমে উপকার ভোগী প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন হয়। উপকারভোগী এবং সেবা
প্রদানকারীর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড কার্যালয় যোগাযোগের মাধ্যমে হিসেবে সেবা প্রাপ্তিতে
         কোনো অসুবিধা হলে উপকারভোগীকে সিটি কর্পোরেশন সহযোগিতা করে।
সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কার্যালয় উপকারভোগী সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য সরবরাহ করে।
সেবা প্রদানে সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয়ের করণীয়:
সকল ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কমংসূচির মাধ্যমে উপকারভাগীদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ।
সঠিক উপকারভোগী নির্বাচনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান।
নির্বচিত উপকারভোগী সঠিক না হলে বিধিমোতাবেক সঠিক উপকারভোগীকে প্রতিস্থাপন।
সামাজিক নিরাপত্তা প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুতকরণ।
প্রতি বছর উপকারভোগী সম্পর্কে আর্থিক ও সামাজিক তথ্যাদি হালনাগাদকরণ।
মানসম্মত সেবা প্রদানের জন্য সরকারী কার্যালয়সমূহকে সহযোগীতা করা।
 
উল্লেখিত ভূমিকা ও করণীয় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে কাউন্সিলরের মাধ্যমে ওয়ার্ড কার্যালয় দায়িত্ব পালন করে। ওয়ার্ড কার্যালয়কে সেবার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনা করে নাগরিক সেবা প্রদানে গুরুপূর্ণ ভুমিকায় নিয়োজিত রাখা হবে।
 
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন: 
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনের অষ্টম তলায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা হবে। যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যথা: (১) ফ্রিল্যান্সিং এন্ড আউটসোসিং, (২) ডিজিটাল মার্কেটিং,
(৩) অফিস এ্যাপলিকেশন, (৪) ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভোলপমেন্ট,
(৫) গ্রাফিক ডিজাইন উইথ ফ্রিল্যান্সিং।
উদ্দেশ্য: (১) প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট প্রদান, (২) অনলাইনে মার্কেট প্লেসে আয়,
(৩) উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ।
 
শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান নার্সিং কলেজ স্থাপন:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান নার্সিং কলেজ স্বপ্নচুড়া প্লাজায় সপ্তম তলায়
স্থাপন করা হবে।
উদ্দেশ্য: (১) বেকার তরুণ-তরুণীদের নার্সিং কলেজের মাধ্যমে দক্ষ নার্স তৈরি করা।
(২) দেশ-বিদেশে দক্ষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে
গড়ে তুলে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
 
সিটি কর্পোরেশন এলাকা সম্প্রসারণ:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সম্প্রসারণের কল্পে ৩১৭.১৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যায় অতি দ্রæত এই বিষয়ে সরকার অনুমোদন পাওয়া যাবে।
 
প্রিয় সহকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ,
দ্রæত নগরায়নের প্রভাবে দিনদিন শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরের অধিবাসীদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের সাথে সমন্বয় করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন’র প্রকৌশল বিভাগ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ করছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন’র প্রকৌশল বিভাগ কিছু নির্দিষ্ট অভিলক্ষ্যে কাজ করে যা নিম্নরূপ-
১। মাষ্টার প্ল্যান প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ;
২। পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিতকরণ;
৩। নগরীর  ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন- রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, জলাশয় সংরক্ষণ, পার্ক, খেলার মাঠ, মার্কেট
ইত্যাদি;
৪। সড়ক আলোকায়নসহ ইলেক্ট্রনিক পরিকল্পনা এবং নগর ডাটা ব্যাংক স্থাপন।
 
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
রাজশাহী মহানগরীকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার-এর গৃহিত ৮ম পঞ্চবার্ষিকী, এসডিজি, স্মার্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান’কে ভিত্তি ধরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন ধরনের স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
 
৫ বছর স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা (২০২৪-২০২৯): একটি শহরের পরিকল্পনার জন্য চলমান, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন হয়, সে লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় নি¤েœর প্রকল্প/পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
১। ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি।
২। নদী ও বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।
৩। সিটি কর্পোরেশন এলাকা সম্প্রসারণ।
৪। রাজশাহী মহানগরীর প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।
৫। রাজশাহী মহানগরীর কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন প্রকল্প। 
৬। রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণার্থে নর্দমা নির্মাণ প্রকল্প (৪য় পর্যায়) শুরু করা
৭। মহানগরীর কুমারপাড়া গুলগোফুর পেট্রোল পাম্প হতে সাহেব বাজার বড় মসজিদ, বড়কুঠি, পাঠানপাড়া, শিমুলতলা
ক্লাব হয়ে ফায়ারব্রিগেড মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।
৮। রাজশাহী মহানগরীর চকপাড়া এলাকায় স্যাটেলাইট টাউন উন্নয়ন প্রকল্প।
৯। রাজশাহী মহানগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সড়কবাতিতে আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প।
১০। রিজিলিয়েন্ট আরবান এ্যান্ড টেরিটরিয়্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (জটঞউচ)।
১১। আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপন।
১২। রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
১৩। রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন ও বাস চলাচল চালু করা।
১৪। বঙ্গবন্ধু রিভারসিটি‘র সূচনা।
 
১০ বছর দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা (২০৩০-২০৪০)
১. ১৫০ শয্যা রাজশাহী সিটি হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প।
২. রাজশাহী মহানগরীর সম্প্রসারিত এলাকায় সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়ন প্রকল্প।
৩. রাজশাহী মহানগরীর ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প।
৪. রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকায় পরিচ্ছন্ন কর্ম নিবাস নির্মাণ কাজ প্রকল্প।
৫. রাজশাহী মহানগরীতে শেখ রাসেল সায়েন্স সিটি ও সাফারি পার্ক নির্মাণ প্রকল্প।
৬. রাজশাহী মহানগরীর আন্ডার পাস প্রকল্প।
প্রিয় সহকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ,
স্মার্ট রাজশাহী সিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন (২০২৪-২৫ অর্থ বছর হতে ২০৩৯-৪০ অর্থ বছর)
স্মার্ট রাজশাহী সিটি বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা, স্মার্ট রাজশাহী ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ও স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
 
তথ্য  ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ৬ দিনব্যাপি রাজশাহী মহানগরীর সকল সেবা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ও রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ও দেশের প্রথিতযশা প্রকৌশলী, জনপ্রতিনিধি নিয়ে আগামীর স্মার্ট রাজশাহীর ধারণাপত্র তৈরী করা হয়েছে। এতে মোট ১৬২টি ইনিশিয়েটিভ রয়েছে, যা আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 
উদ্দেশ্য: দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্মার্ট নগরীর জন্য তৈরি করা হবে স্মার্ট নাগরিক। যারা হবেন বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল। করা হবে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, ক্যাশলেস সোসাইটি, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণানির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট সরকারের মাধ্যমে করা হবে স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক সেবা প্রদান। যাতে থাকবে না কাগজ। উপাত্ত নির্ভর স্বয়ংক্রিয় সেবা হবে আন্তঃসংযুক্ত। প্রয়াস, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ার। যে সমাজ হবে সহনশীল, নিরাপদ ও টেকসই।
 
বর্তমানে রাজশাহী মহানগরী ধীরে ধীরে সিলিকন ও কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর সিটিতে পরিণত হচ্ছে। রাজশাহীতে এখন ঘরে বসে অনেক তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমের ডলার আয় করছে। সমন্বিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে প্রস্তাবিত ২০টি প্রকল্পের ১৬২টি উদ্যোগের মাধ্যমে রাজশাহীকে স্মার্ট নগরীতে রুপান্তর করতে লাগবে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। জরুরি ভিত্তিতে বাছাই করে ২০২৪ সাল থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।
 
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ধারাবাহিকতায়  আমি রাজশাহী সিটি মেয়র হিসেবে স্মার্ট রাজশাহী সিটি বিনির্মাণে সমন্বিত পরিকল্পনার যে ধারণাপত্র পেয়েছি, তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
 
আমরা যত বেশি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারব, রাজশাহী মহানগরী তত এগিয়ে যাবে। রাজশাহী মহানগরী এগিয়ে গেলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও অল্প হলেও কাজে লাগবে। স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও আদায়ে ড্রোন দিয়ে জরিপসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা আগামীতে বাস্তবায়ন করা হবে। আমি আপনাদের নিকট স্মার্ট রাজশাহী সিটি বিনির্মাণের প্রণয়নকৃতকৌশলপত্রটি উপস্থাপন করছি।
 
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আমি এখন সংক্ষেপে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করছি।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট :
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের এর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ৭ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৯ হাজার
৩২৩ টাকা ১১ পয়সা। সংশোধিত বাজেটে এর আকার ৬১৮ কোটি ১১ লক্ষ ২ হাজার ২১০ টাকা ১৭ পয়সা দাঁড়িয়েছে।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট :
আয় ও ব্যয় সমপরিমাণ ধরে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭০ হাজার ১০০ টাকা।
সম্মানিত কাউন্সিলর ও প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, 
আগামী দিনে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রেখে সম্পূর্ণ বাস্তবতার নিরিখে আয়ের সাথে ব্যয়ের সঙ্গতি রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেট প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তাসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক কর্মব্যস্ততার মাঝে আজকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
৩০ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৫ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান (লিটন)
মেয়র
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন