মহানগরীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন বলেন, গত ১০ বছরে রাজশাহীতে যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়। শিক্ষানগরী রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি বেশি গবেষণা হবে-এটা আমরা আশা করি। রাজশাহীতে আরো দুইটি সরকারি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। কৃষিপ্রধান অঞ্চল রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই।
মেয়র বলেন, সরকার শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তার প্রতিফলন পড়েছে রাজশাহীতে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। পিছিয়ে জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য নানান সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি মোশারফ হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. আশীয়ারা খাতুন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির শফিউর রহমান, নজরুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল হক। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক আব্দুর রোকন মাসুম।
অনুষ্ঠানে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪১জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও ফুল দিয়ে নবীণ শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান ও রানারআপ দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরআগে বর্ণিল আয়োজনে প্রধান অতিথি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে বরণ নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর কলেজ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপন করেন মেয়র।