জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পরিষদের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে নগর ভবনের সিটি হলরুমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কর্মসূচির সাথে মিল রেখে রাজশাহীতে বহুমাত্রিক উৎসবের আয়োজন করা হবে। জাতীয় কর্মূসচি ছাড়াও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে নগরীতে আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ঘুড়ি উড়ানো উৎসব, নৌকা বাইচ, সাংস্কৃতিক উৎসব করা যায়, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, নগরীর বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে নানাচিত্র আকিঁয়ে ফুটে তুলতে পারি, শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন উৎসবসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হবে। যে মানুষটির জন্য আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা ব্যাপকভাবে জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করতে চাই।
সভায় বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদান, নগরীর সি এন্ড বি মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল উদ্বোধন, নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে নওহাটা মোড়ে ও কাঠালবাড়িয়া মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গেট নির্মাণ, প্রতিটি ওয়ার্ডে সপ্তাহে একটি করে রক্তদান কর্মসূচি এবং মাসিক ফ্রি মেডিক্যাল টিম গঠন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সম্পর্কিত বই স্কুলে স্কুলে বিতরণ, বই পড়া প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা ও প্রদর্শনী, রাসিকের কোন বিশেষ সড়কে/পার্কে ১০০টি বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ফলের গাছ লাগানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে কর মেলার আয়োজন, কর মেলায় সারচার্জ মওকুফ অন্যান্য রিবেট ও অন্যান্য করহ্রাস সুবিধা প্রদান, গ্রিন পস্নাজায় মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন, মহানগর যে কোন একটি সড়কের নামকরণ বঙ্গবন্ধুস্মরণী নামে নামকরণ, মহানগরীর সকল শিশুদের অংশ গ্রহণে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার অভ্যমত্মরে রচনা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং এতিমখানা বৃদ্ধাশ্রমে উন্নত মানের খাওয়ার পরিবেশন, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধ কল্যাণে মহানগরীর প্রতিটি মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন, সৌন্দর্য বর্ধন, সাজসজ্জা, আলোকসজ্জাসহ প্রধান প্রধান সড়ক ও আইল্যান্ডে আলোকসজ্জাকরণ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে রচনা, কবিতা, ছড়া গান, ছবি দেওয়াল, পরিত্রকার মাধ্যমে বছর ব্যাপী প্রচারকরণ, বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে আনন্দ র্যালী ও কেক কাটার ব্যবস্থা করা, শহরের মেইন মেইন মোড়ে ডিজিটাল ডিসপেস্ন ও স্ক্রিন স্থাপন, আনন্দভোজ আয়োজন, রাজশাহী শহরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত (যেমন ভুবন মোহন পার্ক) স্থানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি নির্মাণকরাসহ ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা করা হয়। আগামীতে আরো সভা আয়োজন করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে চূড়ামত্ম কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
সভায় মঞ্চেউপবিষ্ট ছিলেন রাসিকে প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাওগাতুল আলম, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম। উন্মক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মে কামরুজ্জামান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৭ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শাহু, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার। সভায় সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং জোন কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।