বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দেওয়া হবে না। এরা সুসময়ে থাকলেও দুঃসময়ে তাদের পাওয়া যাবে না। তাই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী ছাড়া কমিটিতে কাউকে রাখা যাবে না।
শনিবার দুপুরে নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, জামায়াত-বিএনপি থেকে যারা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে বিভেদ ভুলে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন উপলক্ষে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের প্রয়োজন। আর এজন্য প্রয়োজন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো। তাই আওয়ামী লীগের চলমান তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনে সকল বিভেদ ভুলে ত্যাগী নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দেশের মানুষ আর আন্দোলন চায় না। তাই রাজনীতির মাঠে ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সরকারকে ধাক্কা দিতে গেলে জনগণই আপনাদের ধাক্কা দেবে। বরং নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিন। সামনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্ত্তত হন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, রাজশাহী মহানগর সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করার কোন বিকল্প নেই। আগামীতে নাটোরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ত্যাগীদের আনা হবে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, প্রফেসর মেরিনা জাহান। সভায় নাটোর জেলা বিভিন্ন থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।