গণমাধ্যমে রাজশাহীর উন্নয়ন ও সম্ভাবনার খবর তুলে ধরার আহবান জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় দৈনিক রাজশাহী সংবাদ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই আহবান জানান মেয়র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, শিল্পায়ন না হওয়াসহ কিছুক্ষেত্রে রাজশাহী পেছিয়ে আছে। এসবের কারণ অনুসন্ধানসহ রাজশাহীর চলমান উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে। রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তেব্য মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী বলেন, আমরা এখন জিডিটাল বাংলাদেশের নাগরিক। অনেক সংবাদ মুর্হুতেই পেয়ে যাই। তারপরও সকালে পত্রিকার পাতা খুললে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের যুবরা ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এটি আমাদের বিজয়। তিনি আরো বলেন, মুজিববর্ষে আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবো, স্বাধীনতার কথা বলবো। আমরা বলবো, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন,দুই বছর আগে সুস্থ ভাবনার সাহসী দৈনিক হিসেবে সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতি রেখে যাত্রা শুরু হয়েছিল দৈনিক রাজশাহী সংবাদ। মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মনিরেপেক্ষতার চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার হয়ে মুজিববর্ষে রাজশাহী সংবাদ পত্রিকা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডোর সাবেক চেয়ারম্যান তানবিরুল আলম, সোনালী সংবাদ এর সম্পাদক লিয়াকত আলী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম, শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তানবিরুল আলম, শহর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান। অন্যন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শ্যামল,রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, রাজশাহী সংবাদের উপদেষ্টা সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সংবাদের সম্পাদক আহসান হাবিব অপু।
এরআগে সকালে মহানগরীর ষষ্ঠী তলায় নিজ অফিসের পাশে দারুচিনি প্লাজা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে দারুচিনি প্লাজা কেক কেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।