এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রমকে সফল করতে সারাদেশে টিকাদান ক্যাম্পেইন চলমান রয়েছে। রাজশাহীতে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি ছাত্রীদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীগণ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনও যারা টিকা গ্রহণ করেনি তাদের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের মাধ্যমে টিকা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটি পর্যায়ে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য এই টিকাদান পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয় বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের ওয়ার্ডের ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে এ টিকা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হলো।
সারাদেশে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচেছ। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সরকার এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করছে। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। রাজশাহী মহানগরীতে গত ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। তাদের সুস্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিতে হবে। এছাড়া ৩০ বছরের বেশি বয়স হলেই নিয়মিত জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিরুপণ পরীক্ষা করা ও সময়মত উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে এবং কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যায়। টিকা পেতে আগ্রহী সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা গ্রহণ করা যাবে।
এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সভা ও জনসমাবেশে আলোচনার মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কিশোরীদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সভা-সমিতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাংবাদিক, রেডিও টিভি কমিউনিটি রেডিও এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এর মাধ্যমে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে জনসাধারণেকে অবহিত ও সম্পৃক্ত করা। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
নগরীতে ৩০৬টি স্কুলের ২৩ হাজার ৫শ ১০ জন শিক্ষার্থীকে এ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি, পাথ এর সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।