Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ জুন ২০১৯

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাওয়ায় মেয়র লিটনকে রাসিক পরিবারের সংবর্ধনা


প্রকাশন তারিখ : 2019-06-02

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা লাভ করায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধণা প্রদান করা হয়েছে। দুপুরে নগরভবনে সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন মেয়র।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে দীর্ঘদিনেও শিল্পায়ন গড়ে উঠেনি। রাজশাহীর উন্নয়ন করতে হলে শিল্পায়নের প্রসার ঘটাতে হবে। এটি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে বিসিক-২, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চামড়া শিল্পপার্ক। এই তিনটি শিল্পাঞ্চলে কোন ভূয়া উদ্যোক্তাদের পল্ট বরাদ্দ দিতে দেওয়া হবে না। এসবে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের পল্ট বরাদ্দ দেয়া হবে।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, পদ্মানদীতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোক্তে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। রাজশাহীতে ইতোমধ্যে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনে আগ্রহী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীতে নৌবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে বাণিজ্যের প্রসার বাড়বে। বিনিয়োগ বাড়বে। রাজশাহীর আয়তন সম্প্রসারণ করা হবে। শিল্পায়নের জন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী তিন/চার বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিয়োগে তুঙ্গে উঠে যাবে রাজশাহী।

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মেয়র লিটন বলেন, আমাকে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীবাসীকে গর্বিত করেছেন। ২০০৮ সালে প্রথম দফায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলাম। ১ম মেয়াদে অনেক কাজ শুরু করেছিলাম যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে হয়ত এতোদিনে অনেক দূর এগিয়ে যেতাম।

মেয়র আরো বলেন, নির্মল বায়ুর শহর রাজশাহী অনেককে আকৃষ্ট হয়েছে। শান্তির শহর রাজশাহী। সামাজিক অপরাধমুক্ত এ শহর।  এ নগরীতে চাকুরীর সুবাদে একবার আসলে তিনি এখানে বসবাসের আবাসস্থল গড়ার পরিকল্পনা নেন।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীর উন্নয়নে ইতোমধ্যে চায়নার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুয়ায়ী তারা মাস্টারপস্ন্যান তৈরি করবে। আগামী  ৫০ বছর ধাপে ধাপে মাস্টারপস্ন্যান বাস্তবায়ন হবে।

রাজশাহীর উন্নয়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আসুন রাজশাহীর উন্নয়নে এক হই। বিভাজন হলেই আমরা নিজেরাই ঠকে যাব। সবাই মিলে রাজশাহীকে গড়বো। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী বলেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান উন্নত-সমৃদ্ধ রাজশাহী গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাসত্মবায়ন করছেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। আমাদের সবাইকে মেয়র লিটনকে সহযোগিতা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। আরো বক্তব্য রাখেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সরিফুল ইসলাম বাবু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এএফএম আঞ্জুমান আরা বেগম, সহকারী সচিব শমসের আলী।

রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মেয়র পত্নী ও সহ-সভাপতি মহানগর আওয়ামী লীগ রাজশাহী শাহীন আকতার রেনী তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-৩ মোসাঃ তাহেরা খাতুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এএফএম আঞ্জুমান আরা বেগম।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে মাননীয় মেয়রকে শুভেচ্ছা জানান রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সরিফুল ইসলাম বাবু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন। সচিব রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সচিবালয় বিভাগের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান। প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হকের নেতৃত্বে প্রকৌশল বিভাগ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করে।

প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান ও রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদের নেতৃত্বে রাজস্ব বিভাগ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনাব ডাঃ এফ.এ.এম. আঞ্জুমান আরা বেগমের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম খান ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা জনাব নিজামুল হোদার নেতৃত্বে হিসাব বিভাগ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ও মনিটরিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ আলী নেতৃত্বে পরিচ্ছন্ন বিভাগ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করে। এছাড়া মেয়র দপ্তরের অফিস সহায়ক ইসমাইল হোসেন রনির নেতৃত্বে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।