মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের বড় মেয়ে মমতাজ বেগম পলির স্বামী, লালমনিরহাট-৩ আসনের সাবেক এমপি প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ দুলাল (৭৩) এর জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের দ্বিতীয় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, রাসিক মেয়র, জাতীয় সংসদের হুইপ ও সংসদ সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।
বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ দুলালের দ্বিতীয় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজে অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সমাজকল্যানমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ও ইকবালুর রহিম এমপি, সাবেক মন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, বিরোধী দলীয় উপনেতা জি.এম কাদের, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, কমরেড মাসুদ রানাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
জানাযা নামাজ শেষে জাতীয় সংসদের স্পীকার ও চীফ হুইপের পক্ষ থেকে মরহেদে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। এ সময় মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এরআগে বাদ জোহর গুলশান আজাদ সমজিদে মরহুমের প্রথম জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ কিডনি রোগে ভূগছিলেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশান-২ এর তাঁর নিজ বাসভবনে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎক মৃত্যু ঘোষণা করেন (ইন্নালিল্লাহি..... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩বছর। তিনি স্ত্রী দু্ই ছেলেসহ অংসখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনীগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে সাবেক এমপি প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ দুলাল (৭৩) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। রোববার সন্ধ্যায় এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, মরহুম আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আপন বড় বোন মমতাজ বেগম পলির স্বামী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ডাঃ আনিকা ফারিহা জামান অর্ণার বড় ফুপা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ ।
১৯৪৬ সালের ৩০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ। তাঁর পৈতৃক বাড়ি লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার পূর্ব দালালপাড়া গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। পেশায় ছিলেন প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী।
কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিতঃ সাবেক এমপি প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ দুলালের মৃত্যুতে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনায় রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল ও কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বাদ আসর রাজশাহী উলামা কল্যান পরিষদের উদ্যোগে মহানগরীর বিভিন্ন সমজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আর বিভিন্ন মাদ্রাসায় কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উলামা কল্যান পরিষদের কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।