জনদুর্ভোগ দূর করতে ফুটপাত ও রাস্তাপাশে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদের ৫ম দিনের অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল।
জানা গেছে, শনিবার সকালে মহানগরীর বন্ধগেট থেকে অভিযান শুরু হয়। এরপর শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম হয়ে বাইপাস হয়ে ডাবতলা হয়ে সিটি হাটের আগ পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রাখার দায়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের আপন চাচাতো ভাই এ.এইচ.এম সাইদুজ্জামান নিপুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে তিনি ছাড়া পেয়েছেন।
অন্যদিকে অভিযানে শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে মোড়ে এবং রেল ক্রসিং এর সামনে স্থায়ীন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙা পড়েছে।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, জনসাধারণ ব্যবহার্য জনপথে কর্পোরেশনের বিনা অনুমতিতে অবৈধ পর্দাপনের (ফুটপাত/ রাস্তারপাশ দখল/স্থাপনা তৈরি/নির্মাণ সামগ্রী রাখা ইত্যাদি) দায়ে স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন আইন- ২০০৯ এর ৯২ (৭) ধারা অনুযায়ী আজকেও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় অনেকে ছাড়া পেয়েছেন। সংখ্যাটা এখনো হিসেব করা হয়নি। কাজ চলছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গত ৯ এপ্রিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযান শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ফুটপাত বা রাস্তার ধারে দোকান বসাতে পারবে না ব্যবসায়ীরা। ফুটপাত ও রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীরা বিকেল চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারবে। তবে কোন ব্যবসায়ী ফুটপাত বা রাস্তায় স্থায়ীভাবে ব্যবসার মালামাল/ সরঞ্জাম রাখতে পারবে না। বিকেল চারটায় মালামাল এনে দোকান বসিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারবে। এরপর রাত ১০টায় দোকান সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।