রাজশাহীর উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। বুধবার দুপুরে নগরভবনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেন।
জানা গেছে, রাজশাহী পরিদর্শনে এসে বুধবার দুপুর ১২টায় নগরভবনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আমন্ত্রণে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। এ সময় চীন রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় মনোজ্ঞ নৃত্যের তালে তালে চীন রাষ্ট্রদূতকে বরণ করা হয়।
এরপর মেয়র দপ্তরে মতবিনিময়ে অংশ নেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো। মতবিনিময়কালে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীর উন্নয়নে চীন সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মতবিনিময়কালে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এ অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য ও ফল উৎপাদন হয়। সেজন্য কৃষিখাতসহ, গার্মেন্টস ও শিল্পায়নে বিনিয়োগের অনুরোধ করছি। এ ছাড়া মেয়র নগরীর আলোকায়নসহ সার্বিকক্ষেত্রে চীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে পানি শোধনাগার প্রকল্পে চীনের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো কৃষি ও শিল্পখাতে সহযোগিতা, নগরীর ট্রান্সপোটেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন, নগরীর প্রবেশ দ্বারসমূহ চাইনা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ গেট স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে অনেক চায়না প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। রাজশাহীতে তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আগামীতেও আরো প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে।
সেজন্য বাংলাদেশে নিয়োজিত চায়না প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান চীন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় চীন রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, স্থানীয় পর্যটন ও ট্রাফিক ব্যবস্থার প্রশংসা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেকেন্ড সেক্রেটারি ইয়াং চুজিং, চীন রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত সহকারী ঝ্যাং জিয়াং, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম মিলি, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন টুনু, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল সরকার, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টু, ৭ নং সংরক্ষিত আসন কাউন্সিলর উম্মে সালমা, সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আকতার জাহান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।