ফেরদৌসী ইসলাম (জেসী): তিনি ১৯৬৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চাঁপানবাবগঞ্জ শহরে জনম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে নবাগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৩ সালে নবাগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৬ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ১৯৮৪-৮৫ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িতব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহিলা ক্লাবের ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে দায়িতব পালন করেন। তিনি বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয়কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচেছন। তার স্বামীর নাম ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ‘প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা’ হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর দুই সমত্মান রয়েছে। ছেলে ফেরদৌস ওয়াহিদ সম্প্রতি এমবিএ পাশ করেছে এবং মেয়ে মাফরুয়া সাইফ মৈত্রী রংপুর সেনাবাহিনী মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
পিতার পরিচয়: ডা: আ.আ.ম মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার। তিনি ছিলেন ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের অগ্রভাগের সৈনিক। তিনি ছিলেন তখনকার রাজশাহী মেডিক্যাল স্কুলের ছাত্র। আজকের রাজশাহী ভুবনমোহন পার্কের স্মৃতি সত্মম্ভে সকলের সাথে ভাষা সৈনিক হিসেবে তাঁর নামটি খোদায় করা আছে। ১৯৭০ সানে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হন। এছাড়াও স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭৩ সনে অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সময়ে জেলা গর্ভণর হিসেবে দায়িতব পালন করেন। আজীবন আওয়ামীলীগ সংশিস্নষ্ট মেসবাহুল হক বাচ্চু ডা: একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি চাঁপানবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ১৮ বার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িতব পালন করেন।
মহান স্বাধীনযুদ্ধে তিনি ভারতের মালদ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা রিক্রটিং ট্রেনিং ক্যাম্পে সহকারী প্রধান হিসেবে দায়িতব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হাসপাতাল রোডের মহানন্দা নদীর তীরে তাঁর বাড়িটি পাকসেনারা পুড়িয়ে দেয়। যা আজও কালের সাক্ষী হিসেবে দন্ডায়মান। তিনি ২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
মায়ের পরিচয়: মা মাসুদা হক গৃহিণী। তিনি একজন সম্ভ্রামত্ম পরিবারের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।