রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে নগরভবনে মিনি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল হক মহানগরীর উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন।
সভায় জানানো হয়, মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সড়ক ও নর্দমা নির্মাণ, তালাইমারী মোড় হতে কাটাখালি পর্যন্ত সড়ক, বন্ধগেট হতে রাজশাহী বাইপাস সড়ক, ভদ্রা রেল ক্রসিং হতে পারিজাত লেক হয়ে রাজশাহী বাইপাস সড়ক, গুড়িপাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক হতে ডাশমারী মিজানের মোড় বাধের উপর সড়ক নির্মাণ, ফায়ার বিগ্রেড মোড় হতে কোর্ট পর্যন্ত ওভারলে সড়ক, আলুপট্টি মোড় হতে কোর্ট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বর হতে লক্ষ্মীপুর হয়ে সিএন্ডবি মোড় পর্যন্ত সড়ক সংস্কার, শালবাগান বিসিক অফিস হতে বিজিবি গেট পর্যমত্ম সড়ক উন্নয়ন, বিলসিমলা রেলগেট হতে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্ত্বর পর্যমত্ম রেললাইনের উত্তর পার্শ্বের রাস্তা নির্মাণ, মেহেরচন্ডী রেল ক্রসিং হতে ইউনিভার্সিটি সুইপার কলোনী পর্যন্ত রেললাইনের উত্তর পার্শ্বের রাস্তা নির্মাণ, নগরীতে বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর মূরাল স্থাপন, দরগাহ্ শরীফ কমপ্লেক্স নির্মাণ, ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কমপ্লেক্স নির্মাণ, গোরস্থান ও ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর উন্নয়ন, শালবাগান শিশু পার্কের উন্নয়ন, যাত্রী ছাউনী নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈদগাহের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ, শালবাগান গ্যারেজ উন্নয়ন, লালন শাহ পার্ক উন্নয়ন, নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ, শিরোইল বাস স্ট্যান্ড হতে ভদ্রা স্মৃতি অম্লান হয়ে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক ডিভাইডার নির্মাণ। মিয়াপাড়া পাবলিক লাইব্রেরী, শিশু পার্কের রাইডস নির্মাণ, ফুটপাত নির্মাণ, পার্কের গেস্ট হাউজ, ৩০টি ওয়ার্ডে কার্যালয় স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ সকল প্রকল্প দাখিল করা হবে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল হক। আগামী দুই বছরের মধ্যে এ সকল কার্যক্রমের অনেকগুলো কাজ দৃশ্যমান হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া নগরীতে জলাশয় সংরক্ষণ, শেখ রাসেল শিশু পার্ক স্থাপন, সড়ক বাতির উন্নয়নে পৃথক সঞ্চালন লাইন স্থাপন, সড়ক নির্মাণে আধুনিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহে পৃথক প্রকল্প প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময়কালে মেয়র প্রকল্প সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের অতি দ্রুত এ সকল প্রকল্প প্রণয়ন কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি বলেন, মহানগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সাহেব বাজার, ভদ্রা, নওদাপাড়া, শালবাগান উন্নয়নে দ্রম্নত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। রাসিকের আয় বৃদ্ধিতে বিনোদন পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পদ্মা নদীর ধারকে উন্নয়ন করতে হবে। নগরীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন, ভুবনমোহন পার্ক উন্নয়ন, হরিজন পলস্নীর উন্নয়ন, সিএনজি স্টেশন, পাঁচ তারকা হোটেল, আলোকায়ন ব্যবস্থা জোরদার, সিসি ক্যামেরা সংযোজন এবং আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
রাসিকের নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রজব আলী, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ারুল আমিন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আশরাফুল হাসান, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রবিউল ইসলাম তজু, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রবিউল ইসলাম, ৯নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ লাইলী বেগম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, নির্বাহী প্রকৌশলী রেয়াজাত হোসেন রিটু, সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব, সহঃ প্রকৌশলী মোঃ শামসুদ্দিন হায়দার সহঃ প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ উপস্থিত ছিলেন।