পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন মহানগরী এবং পরিচ্ছন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন নগরীর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে ‘পরিচ্ছন্ন-সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতা’ এর উদ্বোধন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। দুপুরে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিটি মেয়রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিন রাজশাহী বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশের সব শহরগুলোর মধ্যে যদি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হয়, তবে সেই প্রতিযোগিতায় রাজশাহী হবে এক নম্বর শহর। আমরা এতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমরা চাই রাজশাহীকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সেরা শহরে পরিণত করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। পরিচ্ছন্ন শহরের পাশাপাশি নিজেদের মনকেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, থমকে থাকা রাজশাহীর উন্নয়ন আবারো শুরম্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিরতিহীন ট্রেন চালু হয়েছে। আগামীতে শিল্পায়নসহ সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু হবে।
বিডিক্লিন এর রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক নাইমুল ইসলাম সাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, টির্চাস টেনিং কলেজের প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, মুসলিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মাসুম সরকার, রাসিকের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গড়তে শপথ নেন। শপথ বাক্য পাঠ করান রাজশাহী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা সুক্তি।
উল্লেখ্য, আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলবে। প্রতিযোগিতায় মহানগরীর ২৫টি স্কুল-কলেজ অংশ নিচ্ছে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রথম হবে, তারা পাবে তিনটি ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী পাবে দুইটি ল্যাপটপ ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরা পাবে একটি ল্যাপটপ। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হবে টি-শার্ট। ২০১৯ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন রাজশাহী ঘোষণা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও বিডিক্লিন।