জনদুর্ভোগ দূর করতে ফুটপাত ও রাস্তাপাশে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদের ১০ দিনের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এদিনের অভিযানে আওয়ামী লীগের দুইটি এবং বিএনপির এক অফিসসহ শতাধিক স্থাপনা ভাঙা পড়েছে। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সূত্রমতে, রোববার বেলা ১১টায় বিসিক ম্যাচ ফ্যাক্টরির মোড় থেকে ১০দিনের অভিযান শুরু হয়। এরপর পুরো বিসিকি এলাকা হয়ে মথুরগাঙ্গা ঘুরে পুনরায় ম্যাচ ফ্যাক্টরির মোড়ে এসে অভিযান সমাপ্ত হয়। অভিযানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুইটি এবং বিএনপির একটি কার্যালয়সহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। অভিযান চলাকালে ৫৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ৫৭টি মামলায় দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৫৭জন ব্যক্তির প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে তারা সবাই ছাড়া পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, জনসাধারণ ব্যবহার্য জনপথে কর্পোরেশনের বিনা অনুমতিতে অবৈধ পর্দাপনের (ফুটপাত/ রাস্তারপাশ দখল/স্থাপনা তৈরি/নির্মাণ সামগ্রী রাখা ইত্যাদি) দায়ে স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন আইন- ২০০৯ এর ৯২ (৭) ধারা অনুযায়ী ১০ দিনের অভিযানে ৫৭জনকে জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই অভিযানে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, অভিযানের সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু হয়েছে। যেসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে, সব এলাকার ফুটপাতসহ রাস্তাধার দিয়ে নগরবাসী নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন। যেখানে দখলদারদের জন্য চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হতো সবাইকে।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ সভায় সিদ্ধামত্ম অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। উচ্ছেদে পরিস্কার হচ্ছে মহানগরী। ফুটপাত ও রাসত্মাপাশ অবৈধ দখলমুক্ত হওয়ায় নির্বিঘ্নে চলাচল করছে নগরবাসী। এজন্য উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সর্বসত্মরের জনসাধারণ।
অন্যদিকে সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ফুটপাত বা রাস্তার ধারে দোকান বসাতে পারবে না ব্যবসায়ীরা। ফুটপাত ও রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীরা বিকেল চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারবে। তবে কোন ব্যবসায়ী ফুটপাত বা রাস্তায় স্থায়ীভাবে ব্যবসার মালামাল/ সরঞ্জাম রাখতে পারবে না। বিকেল চারটায় মালামাল এনে দোকান বসিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারবে। এরপর রাত ১০টায় দোকান সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।