মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংষ্কৃতিক উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৭ মার্চ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে শুরু হতে যাওয়া ১০ দিনব্যাপী এ উৎসবে ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। দুপুরে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উৎসব উদ্যাপনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে জমজমাট পরিবেশে চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাট্যোৎসব চলছে।
মেয়র বলেন, সুদূর অতীত কাল থেকে সাংষ্কৃতিক দিক দিয়ে রাজশাহী অঞ্চল অনেক সমৃদ্ধ। বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক কর্মকান্ডে সব সময় মুখর থেকেছে নগরী। শিক্ষার ক্ষেত্রেও সব সময় এগিয়ে।
তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপিত হবে। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এসব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মৌলবাদী, কুপমন্ডুতা, মেধা-মনোনশীল কাজে নষ্ট করার অপচেষ্টাকারীদের সমূলে উৎপাটন হবে। সকল প্রকার বিষবাষ্প থেকে বেরিয়ে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নতুন বাংলাদেশ হিসেবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা আরো এগিয়ে যাবে।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মুজিববর্ষে সারাদেশে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপন হবে। আমরা এক বছর আগেই রাজশাহীতে সূচনা করলাম। এসব কর্মকান্ড আমাদের আগামী বছর আরো বিভিন্ন কর্মকান্ড আয়োজন করতে উৎসাহিত ও উজ্জ্বিবিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব কবি আরিফুল হক কুমার জানান, উৎসব উপলক্ষ্যে লালনশাহ মুক্তমঞ্চে ৭ মার্চ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্যচিত্র, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। ১১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাট্যোৎসব। এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপাল থেকে আগত প্রখ্যাত নাটকের দলগুলো। উৎসবের মূল পর্ব আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। ১৭ মার্চ নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল স্ট্রাস্ট এর সদস্য কবি শেখ হাফিজুর রহমান। এই উৎসবে মহানগরীর প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নগরীর চারটি জনবহুল স্থানে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব কবি আরিফুল হক কুমার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-উপদেষ্টা গোলাম সাবিবর সাত্তার তাপু, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কামারুল্লাহ সরকার, শাহ মখদুম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান, বর্তমান অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।