রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। ইপিআই কার্যক্রমে (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) পরপর ৮বার জাতীয়ভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে রাসিক। এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। আগামীতেও চিকিৎসা সেবা প্রদানে আলোকবর্তিতা হবে রাসিক। রাসিকের স্বাস্থ্যসেবার সফলতার পেছনে ভুমিকা পালন করেছে মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আজ সোমবার দুপুরে নগরভবন সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ (২৪-৩০ এপ্রিল)-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে ইপিআই ই-রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে শিল্পায়ন হয়নি, বাণিজ্যের প্রসার ঘটেনি। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবার উপর টিকে আছি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটা পর্যায়ে গেছি। এটি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমরা আরো এগিয়ে যেতে চাই। আগামীতে ইপিআই এর কার্যক্রম পুরোপুরো ডিজিটাল করতে চাই।
মেয়র আরো বলেন, রাসিক ইপিআই কার্যক্রমে ৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে। আমাদের অনুসরণ করছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এই অর্জন আমরা ধরে রাখতে চাই
রাসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য রক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বর্ধন জং রানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিডার ডাঃ রাজেন্দ্র বোহারা, ইউনিসেফের প্ল্যানিং এন্ড মনিটরিং অফিসার সোনিয়া আফরিন, ইপিআইর ডিপিএম ডাঃ রেজাউর রহমান, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাবিব আহসান তালুকদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, স্বাস্থ্যকর্মীরা ও শিশুদের বাবা ও মায়েরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নিকট ইপিআই ই-রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমের গাইড লাইন প্রদান করেন ইপিআই এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মওলা বকস চৌধুরী। পরে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়।
এরআগে ইপিআই ই-রেজিস্ট্রেশনের উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে নগরভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্বর ঘুরে পুনরায় নগরভবনে এসে শেষ হয়।