রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, মহানগরীর উন্নয়নে আগামী ৫ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ করা হবে। প্রতিটি প্রকল্প মেগা আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষে ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মহানগরীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নগরভবনে রাসিকের স্বাস্থ্যকর্মী ও রাসিক পরিচালিত এসবিকে এন্ড প্রি-স্কুলের শিক্ষিকাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ কাজটির দায়িত্ব পালন করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার কারণে ইপিআই কার্যক্রমে বার বার প্রথম স্থান অর্জন সম্ভব হয়েছে এর দাবিদার আপনারা। মাঠ পর্যায়ের এ কার্যক্রমটির মান বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল হবার নির্দেশ দেন তিনি। ওয়ার্ড পর্যায়ে ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে রাসিক পরিচালিত এসবিকে এন্ড প্রি-স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম আরও বর্ধিত করা হবে বলেও তিনি জানান। মেয়র জানান, বিগত মেয়াদে রাসিকের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিছু কাজ শুরু করতে পারলেও তা পূর্ণভাবে শেষ করা সম্ভব হয়েছিল না। গত পাঁচ বছরে রাজশাহী অনেকাংশে পিছিয়ে গেছে। সেই থেমে যাওয়া উন্নয়ন কার্যক্রম আবারও শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন আয়ের উৎস সৃষ্টি করে ও ব্যয়ের খাতগুলি সঙ্কুচিত করে রাসিকের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে বেতন বৃদ্ধিসহ কর্মরত দক্ষ কর্মচারীদের শুণ্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সকালে নগরভবন সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নুরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সরিফুল ইসলাম বাবু, সাবেক দায়িতবপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রজব আলী, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামাল হোসেন, ৯নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর লাইলী বেগম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগম।