সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে মহানগরী সেজেছে নতুন রূপে। রাজশাহী মহানগরীর যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকে চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধুর ছবি। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সাজ সাজ রব নগরীতে। বঙ্গবন্ধুর অনেক বিরল ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতে। মুজিববর্ষ উদযাপনে এসব বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন আনন্দধারায় এক অন্যরকম মাত্রা দিয়ে চলেছে। আর এ কাজের দায়িত্ব পালন করছেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
আগামী ১৭ মার্চ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বর্ষব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের জাতীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের কাউন্ট ডাউন শুরম্ন হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে দুইটি কাউন্ট ডাউন যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন স্মরণীয় করে তুলতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এখন নগরীজুড়ে চলছে শোভাবর্ধনের কার্যক্রম। এখন থেকেই জনবহুল স্থানে ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে বিভিন্ন কার্যক্রম, পারিবারিক ও বৈদেশিক সম্পর্কিত ছবি ও চিত্র সম্বলিত ব্যানার ও বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে।
মুজিববর্ষের এসব ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বিভিন্ন চুক্তি সম্পর্কিত সমঝোতা স্বাক্ষর, জাতিসংঘের ভাষণ, জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু হাত উচিয়ে শুভেচ্ছা, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষর, পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু-এমন নানা ধরনের ছবি।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ। তারা বলছেন, মুজিববর্ষের সাজে সাজছে রাজশাহী। এতে একদিকে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনের তথ্য ও দুলর্ভ আলোকচিত্র দেখতে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মুজিববর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ত্ততি নেওয়া হয়েছে। নগরীতে যারা আসবেন, তারা যেনো দেখেই অনেককিছু বুঝতে পারেন। এছাড়া তরুণ প্রজন্মেও জন্য থাকছে বিভিন্ন আয়োজন। স্কুল-কলেজগুলোতে বিতরণ করা হবে জাতির পিতার আত্মজীবনী। যাতে নতুন প্রজন্ম সহজেই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারে।
মেয়র বলেন, শহর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। ধীরে ধীরে পুরো নগরীকে উৎসবের আমেজে নিয়ে আসা হবে। মানুষ যাতে জাতির পিতাকে স্মরণ করে, মনে রাখে সেই উদ্যোগ নিয়েই বছরজুড়ে থাকবে নানা আয়োজন।